১৪৪ ধারা জারির কারণে দুইশত বছরের পুরনো টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার ভোজদত্ত ঈদগাহ মাঠে ১০ বছর ধরে ঈদের নামাজ আদায় করতে পারছেন না গ্রামের মানুষ। মাঠের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের বিরোধের জেরে এক ব্যক্তি খুন হওয়ার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ভোজদত্ত ঈদগাহ আধিপত্য নিয়ে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার ভোজদত্তসহ আশেপাশের ৫টি গ্রাম ও পার্শ্ববর্তী কালিহাতী উপজেলার বীরবাসিন্দা গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয় ২০১২ সালে।
বিরোধ নিরসনের জন্য ২০১২ সালের ২১ নভেম্বর দুই উপজেলার তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে এক বৈঠক হয়।
ওই বছরের ১ই ডিসেম্বর আহত গফুর চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মারা যান।
উক্ত ঘটনার পর থেকে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় গত ১০ বছর যাবত প্রতি বছরই দুই ঈদে ভোজদত্ত ঈদগাঁহ মাঠে জেলা প্রশাসকের নির্দেশক্রমে ১৪৪ ধারা জারি করে আসছে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন।
এবারও একই নির্দেশনা বজায় রাখার নির্দেশনা চেয়ে চিঠি লিখেছে উপজেলা প্রশাসন। যার কারণে ঈদগাহ মাঠের আশে পাশের ৭ গ্রামের মানুষ এবারো ওই ঈদগাঁহ মাঠে নামাজ আদায় করা থেকে বঞ্চিত হবে।
বীরবাসিন্দা গ্রামের বাসিন্দা ডা. আবুল হোসেন বলেন, ঐতিহ্যবাহী মাঠটি এগার বছর ধরে পতিত রয়েছে। অনেকেই সমাধানের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। আমরা বিষয়টির সমাধান চাই এবং মাঠে ঈদের নামাজ আদায় করতে চাই। ভোজদত্ত গ্রামের ইউনুস আলী বলেন, আমরা এই অচলাবস্থার দ্রুত নিরসন চাই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনিয়া চৌধুরী বলেন, প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ঈদুল ফিতরের দিন ওই ঈদগাহ মাঠে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির স্বাভাবিক রাখতে ১৪৪ ধারা জারির প্রস্তাবনা জেলা প্রশাসকের নিকট প্রেরণ করা হয়েছে।
news24bd.tv/কামরুল
