মাদারীপুরের কালকিনিতে এক বিধবা নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নুর আলম আকন নামে এক যুবক বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্ত নুর আলমের স্ত্রী পপি বেগম বিধবাকে শারীরিক নির্যাতন এবং চুল কেটে দেয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পরে বুধবার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা হলেও আসামিরা গ্রেপ্তার হয়নি। উল্টো খাঁসেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনর্চাজ অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন বলে নির্যাতিতার দাবি।
ভুক্তভোগী, পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার বাঁশগাড়ি ইউনিয়ন পরিপত্র এলাকার মৃত্যু রশিদ আকনের ছেলে মো. নুর আলম আকন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একই এলাকার তিন সন্তানের বিধবা নারীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এই সম্পর্কের ভিত্তিতেই গত দুই বছর ধর্ষণ করে আসছে বলে দাবি বিধবা নারীর। নুর আলম চাকরি সূত্রে ঢাকায় থাকেন। গত শনিবার সন্ধ্যায় ঈদের ছুটিতে ঢাকা থেকে বাড়ি আসেন।
নির্যাতিতা নারী জানান, তাকে বিয়ে প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেছেন নুর আলম আকন। পরে নুর আলমের স্ত্রী পপি ছেলে ইরাম ও বোন রাশিদা তাকে মারধর করে এবং চুল কেটে দিয়েছে। এ ঘটনায় নারী খাঁসেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে গেলে, তাকে
আইনি কোনো সুবিধা না দিয়ে উল্টো তাকে গালাগালি করে পাঠিয়ে দেয় বলেও জানান তিনি। পরে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা পুলিশের ঊর্ধতন কর্মকর্তাদের জানালে বুধবার মামলা হয়।
খাঁসেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আইসি মো.এমদাদ হোসেন বলেন,আমার কাছে এসেছিল, মামলা বা কোনো অভিযোগ করলে কালকিনি থানায় যেতে হবে। আমি তদন্ত করে দেখেছি,তাদের সম্পর্ক ছিল। গালাগালির অভিযোগ সত্য নয় বলেন দাবি করেন তিনি। কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইশতিয়াক আশফাক রাসেল বলেন, এই ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
news24bd.tv তৌহিদ