বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এ সরকার যে জনগণের শক্র পক্ষ- সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধিতে তা আবারও প্রমাণিত হলো। ঈদুল ফিতরের প্রাক্কালে বাজার থেকে সয়াবিন তেল উধাও এবং বৃহস্পতিবার (৫ মে) সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধি একটি অভিনব নজীরবিহীন ঘটনা। যা জনগণকে চরম ভোগান্তিতে ফেলেছে।
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন মহলের সিন্ডিকেটের দৌরাত্মেই বাজার থেকে সয়াবিন তেল গায়েব করে এখন চরম দাম বৃদ্ধির মাধ্যমে মধ্যম ও স্বল্প আয়ের মানুষকে গচ্চা দিতে হচ্ছে অতিরিক্ত অর্থ।
এ ঘটনায় জনগণকে চরম হয়রানির মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।শুক্রবার (৬ মে) বিকেলে সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব সয়াবিন তেলের সীমাহীন মূল্য বৃদ্ধির এ ‘গণবিরোধী’ সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং অবিলম্বে ভোজ্য তেল সয়াবিনের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, বাণিজ্য সচিবের সঙ্গে মিল মালিকদের বৈঠকের পর এক লাফে প্রতি লিটারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৩৮ টাকা, খোলা সয়াবিন তেলের মূল্য ৪৪ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সয়াবিন তেল এখন সোনার হরিণ। ভোজ্য তেল হিসেবে সয়াবিন তেল অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি পণ্য। প্রতিটি পরিবারে রন্ধন কাজের জন্য এটি একটি অত্যাবশকীয় উপকরণ। সুতরাং নিত্য প্রয়োজনীয় এ পণ্যকে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়াই তাদের প্রধান লক্ষ্য।
ফখরুল বলেন, ভোটারবিহীন সরকারকে জনগণের কাছে কোনো জবাবদিহি করতে হয় না বলেই সয়াবিন তেলের মতো প্রয়োজনীয় পণ্যকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সেটি জনগণের ক্রয়ক্ষমতা থেকে দূরে ঠেলে দিয়েছে এবং জনগণকে চরম দুর্ভোগের মধ্যে ফেলেছে। সরকার নিজেদের গোষ্ঠীর স্বার্থে সয়াবিন তেলের মূল্য বৃদ্ধি করেছে। অথচ আশেপাশে কোনো দেশেই ভোজ্য তেলের মূল্য বৃদ্ধি পায়নি।
বিএনপির এ নেতা বলেন, একমাত্র বাংলাদেশের বর্তমান গণধিকৃত সরকারই জনগণের স্বার্থের তোয়াক্কা করে না। এরা নিপীড়ন-নির্যাতনের ভয়ার্ত পরিবেশ সৃষ্টি করে জনগণকে বন্দি করে রাখতে চায়।
news24bd.tv তৌহিদ