অবশেষে মুখ খুললেন সেই টিটিই শফিকুল

সংগৃহীত ছবি

অবশেষে মুখ খুললেন সেই টিটিই শফিকুল

অনলাইন ডেস্ক

অবশেষে মুখ খুললেন সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পাকশী রেলওয়ের ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরীক্ষক (টিটিই) শফিকুল ইসলাম। তিনি চাকরির বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহারের খবরে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।  রোববার দুপুরে পাবনার পাকশীতে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের বিভাগীয় কার্যালয়ের সামনে তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। যেহেতু আমি রেলওয়ের জন্য কাজ করি, দেশের জন্য কাজ করি, আমাকে আবার কাজে যোগদানের সুযোগ দিয়েছে, তাতে আমি খুশি।

ডিসিও নাসির উদ্দিন বলেছিলেন তিনি নাকি হীনমন্যতায় ভোগেন।  এর জবাবে শফিকুল ইসলাম বলেন, এটি ঠিক নয়। চাকরিতে আমার সন্তুষ্টি আছে। আমার সহকর্মীরা জানেন, আল্লাহপাকও জানেন- আমি মানসিক বিকারগ্রস্ত কি না! তিনি আরো বলেন, এটাই আমার প্রথম সাময়িক বরখাস্ত।

এর আগে কখনও সাময়িক বরখাস্ত হইনি।  ওই রাতে যখন আমি দায়িত্ব পালন করেছি, সেদিন আপ অ্যান্ড ডাউনে ৭৮ হাজার টাকার রাজস্ব আদায় করে জমা দিয়েছি। ’

টিটিই শফিকুল ইসলাম মাদকাসক্ত বলে মন্তব্য করেন পাকশী রেল বিভাগের ডিসিও (বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা) নাসির উদ্দিন। তার এই মন্তব্যের জবাবে শফিকুল ইসলাম বলেন, আমি মাদক সেবন তো দূরের কথা, বিড়ি-সিগারেটও খাই না। এমনকি চা স্টলে চা-ও খাই না। ’

তদন্ত কমিটির ডাকে আজ পাকশীতে এসে টিটিই শফিকুল ইসলাম বলেন, তার সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। অফিসিয়াল চিঠি পেলেই তিনি কাজে যোগ দেবেন। তিনি বলেন, আমি কখনও কোনো যাত্রীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করিনি। আমি সহকারী বাণিজ্যিক কর্মকর্তা স্যারের নির্দেশে ওই তিন যাত্রীর টিকিট করিয়ে দিয়েছিলাম। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মাদকাসক্ত তো দূরের কথা আমি কখনও চায়ের নেশাও করি নাই। প্রয়োজনে আমি ডোপটেস্ট করতে প্রস্তুত আছি। কে বা কারা এই তথ্য ছাড়িয়েছে আমি জানি না।  

এ সময় রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) শাহীদুল ইসলাম বলেন, কর্তব্যরত টিটিইকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি অধিকতর তদন্ত করতে আরও দুদিন সময় বাড়ানো হবে। এ সময় তিনি আরও বলেন, একইসঙ্গে পাকশীর বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) নাসির উদ্দিন কারো দ্বারা প্রভাবিত হয়ে যদি শফিকুল ইসলামকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দিয়ে থাকেন তবে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

উল্লেখ্য, রেলন্ত্রীর ‘আত্মীয় পরিচয়’ দিয়ে বিনা টিকিটে ট্রেনে ভ্রমণ করায় গত ৪ মে রাতে ঈশ্বরদী থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর ‘সুন্দরবন এক্সপ্রেস’ এর তিন যাত্রীকে জরিমানা করেছিলেন টিটিই শফিকুল। কিন্তু রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে পরদিন তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে রেল কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয় সমালোচনা। পরিপ্রেক্ষিতে শফিকুলের বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করা হয়।