বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়টি আরও ২০০ কিলোমিটার এগিয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
রোববার (৮ মে) আবহাওয়াবিদ নাজমুল হক বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ ২০০ কিলোমিটার এগিয়েছে।
এদিকে ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, আগামী ১২ ঘণ্টায় এই ঘূর্ণিঝড় পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর পেরিয়ে পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরের দিকে অগ্রসর হবে। পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে এটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে।
এর ফলে মঙ্গলবার থেকে অন্ধ্রপ্রদেশ, উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি এবং ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এই মুহূর্তে বিশাখাপত্তনম থেকে ৯৭০ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অবস্থান করছে অশনি। অন্যদিকে উড়িষ্যার পুরী থেকে ১০২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে রয়েছে এই ঘূর্ণিঝড়।
উপকূলের আরো কাছাকাছি আসলে প্রভাব পড়বে বাংলাতে। এর প্রভাবে উড়িষ্যা ও বাংলার উপকূলের জেলাগুলোতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। দক্ষিণবঙ্গের উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় হালকা ঝড়ো হাওয়া এবং ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বুধ ও বৃহস্পতিবার এই দুইদিন ভারী বৃষ্টি হতে পারে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় অঞ্চলে। বাকি জেলাতেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা।
সোমবার সন্ধ্যার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে মৎস্যজীবীদের সমুদ্র থেকে ফিরে আসতে বলা হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে না যেতে বলা হয়েছে। একইভাবে দীঘা ও মন্দারমনি সমুদ্র তটে পর্যটকদের জন্য নিষেধাজ্ঞা থাকছে। আপাতত এই সময় পর্যন্ত সমস্ত ধরনের বিনোদন কার্যকলাপ সমুদ্রতটে নিষিদ্ধ।
তবে স্থলভাগের ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার আশঙ্কা কম। যদিও শুকনো খাবার থেকে পানি মজুদ রাখার মতো সমস্ত সর্তকতা রাখা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি রুখতে প্রতিটি ব্লকে সাবধানতা অবলম্বন করা হচ্ছে। তৈরি থাকছে কুইক রেসপন্স টিম, দুর্যোগ মোকাবেলা বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস। দুর্বল ও কাঁচা ঘরবাড়িগুলোর ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে এই আশঙ্কা করে উপকূলবর্তী এলাকা থেকে ওইসব মানুষদের নিরাপদে সরিয়ে রাখার ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। এর জন্য তৈরি করা হয়েছে শেল্টার হোম।
news24bd.tv/আলী