আগের নিয়মে ফিরছে ২৩ সালের এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা

সংগৃহীত ছবি

আগের নিয়মে ফিরছে ২৩ সালের এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা

অনলাইন ডেস্ক

করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে এ বছর কম নম্বরে এবং কম সময়ে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা হলেও আগামী বছর পূর্ণ নম্বরে প্রতি বিষয়ে তিন ঘণ্টায় হবে। আগামী বছরের পরীক্ষাও চলতি বছরের মতো সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে হবে। রোববার বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি ২০২৩ সালের এসএসসি ও এইচএসসির বিষয়ে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে শুধুমাত্র এসএসসি পর্যায়ে আইসিটি বিষয়ে ৫০ নম্বরের পরীক্ষা নেয়া হবে।

বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি ও ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্রফেসর তপন কুমার সরকারের সই করা আদেশ থেকে জানা যায়, বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০২৩ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা সব বিষয়ে অনুষ্ঠিত হবে। এই পর্যায়ে প্রতিটি বিষয়ে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এক চিঠিতে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের আনুষ্ঠানিকভাবে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। গতকাল রোববার চিঠিটি দেওয়া হয়।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, এসএসসি পর্যায়ে তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ের পরীক্ষার পূর্ণ নম্বর ৫০ এবং অন্যান্য প্রতি বিষয়ে তিন ঘণ্টা সময়ে ১০০ নম্বরে পরীক্ষা হবে। আর এইচএসসি পর্যায়ে প্রতিটি বিষয়ে তিন ঘণ্টায় ১০০ নম্বরে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়া চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার নম্বর বিভাজন প্রকাশ করেছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড। এবার পরীক্ষার নম্বর ৪৫-৫৫ করা হয়েছে। পরীক্ষার সময় ধার্য করা হয়েছে ২ ঘণ্টা।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম আমিরুল ইসলামের স্বাক্ষর করা সময় ও নম্বর বন্টন সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিজ্ঞান বিভাগে ব্যবহারিকসহ বিষয়গুলোতে পরীক্ষার্থীরা প্রতি বিষয়ে ৪৫ নম্বরের পরীক্ষায় অংশ নেবে। এর মধ্যে রচনামূলকে ৩০ ও নৈর্ব্যক্তিক থাকবে ১৫ নম্বর।

আর মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ব্যবহারিক ছাড়া বিষয়গুলোতে শিক্ষার্থীরা প্রতি বিষয়ে ৫৫ নম্বরের পরীক্ষায় অংশ নেবে। এর মধ্যে রচনামূলক পরীক্ষায় ৪০ ও নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষায় থাকবে ১৫ নম্বর। তবে বাংলা দ্বিতীয় পত্র এবং ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা হবে ৫০ নম্বরের।

বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যায়, ব্যবহারিক ছাড়া বিষয়গুলোতে রচনামূলকের ৪০ নম্বরকে ৭০ নম্বরে এবং নৈর্ব্যক্তিকের ১৫ নম্বরকে ৩০ নম্বরে রূপান্তর করে ফল প্রস্তুত করা হবে। আর ব্যবহারিকসহ বিষয়গুলোর রচনামূলকের ৩০ নম্বরকে ৫০ নম্বরে এবং নৈর্ব্যক্তিকের ১৫ নম্বরকে ২৫ নম্বরে রূপান্তর করে ফল প্রস্তুত করা হবে। বাংলা দ্বিতীয় পত্র এবং ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রের ৫০ নম্বরকে ১০০ নম্বরে রূপান্তর করা হবে।

news24bd.tv/আলী