মুখোশবাহিনী প্রতিরোধ কমিটির সড়ক ও নৌপথ অবরোধ
অপহৃত ১৬ গ্রামবাসীকে উদ্ধারের দাবিতে

মুখোশবাহিনী প্রতিরোধ কমিটির সড়ক ও নৌপথ অবরোধ

ফাতেমা জান্নাত মুমু  • রাঙামাটি

রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলায় অপহৃত ১৬ গ্রামবাসীকে উদ্ধারের দাবিতে রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়ক ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে নব্য মুখোশবাহিনী প্রতিরোধ কমিটি।  

আজ (১০ জুলাই) ভোর ৬টার দিকে কর্মসূচি শুরু করে অবরোধকারীরা। এ সময় সংগঠনটির নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা রাঙামটি-কুতুকছড়ি-মহলছড়ি ও খাগড়াছড়ি গাছের গুঁড়ি ফেলে ও টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক বন্ধ করে দেয়।

পরে সড়কের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থান নিয়ে পিকেটিং শুরু করে তারা।

এতে এলাকার অদিকাংশ দোকান-পাট বন্ধ থাকে। বসেনি কোনো হাটবাজার।  

নাশকতা এড়াতে নানিয়ারচর উপজেলায় যৌথ বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন ও টহল জোরদার করা হয়। আর তাই অবরোধ চলাকালে কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

 

এদিকে, দিনভর নানিয়াচর উপজেলার রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েন সাধারণ মানুষ ও পরীক্ষারত শিক্ষার্থীরা।

অন্যদিকে সোমবার রাতে রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলায় ফের অস্ত্রের মুখে দূর্বৃত্তরা তুলে নিয়ে গেছে ইউপিডিএফ সমর্থক সাবেক ইউপি মেম্বার স্বপন কুমার চাকমা নামে এক ব্যক্তিকে। এ সব ঘটনায় উত্তেজনা বিরাজ করছে রাঙামাটি। ছড়িয়ে পরছে চাপা আতঙ্ক।
নব্য মুখোশ বাহিনী প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব পরাণ ধন চাকমা সাক্ষরিত্ব এক বিবৃতিতে জানান, গত ৮জুলাই রাঙামাটির নানয়িারচরের বুড়িঘাট ইউনিয়নের হাতিমারা মুখ এলাকা থেকে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের গ্রাম প্রধানসহ ১৬ জন নিরীহ গ্রামবাসীকে এমএন লারমা গ্রুপ (সংস্কারবাদী) ও নব্য মুখোশাহিনীর সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে নিয়ে যায়। তার প্রতিবাদে ও তাদের উদ্ধারের দাবিতে রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কে সকাল-সন্ধ্যা সড়ক ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়। কারণ ২দিনেও অপহৃতদের উদ্ধারে প্রশাসনের কোন তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না।  
উল্লেখ্য, পরশু (৮ জুলাই) নানিয়ারচর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা কুদুকছড়ি বাজারে যাচ্ছিলেন। পথে হাতিমার মুখ নামক স্থানে এমএন লারমা গ্রুপের সংস্কারবাদী ও মুখোশ বাহিনীর সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা যাত্রীবাহী নৌকা থামিয়ে ২৫ জন সাধারণ গ্রামবাসীকে অস্ত্রের মুখে নামিয়ে রাখে।  

তাদের মধ্যে থেকে ৯ জনকে ছেড়ে দিয়ে বাকি ১৬ জনকে অপহরণ করে উপজেলার বড়াদাম গ্রামের দিকে যায়। এখনো পর্যন্ত অপহৃতদের সন্ধান না মেলায় অবরোধ কর্মসূচি পালন করে ইউপিডিএফ সমর্থিত নব্য মুখোশবাহিনী প্রতিরোধ কমিটি।

মুমু/অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর

সম্পর্কিত খবর