ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’র প্রভাবে কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর বেশ উত্তাল রয়েছে। জেলেরা গভীর সমুদ্রে মাছ ধরা বন্ধ করে ট্রলার নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে আসতে শুরু করেছে। আকাশে মেঘের ঘনঘটা বিরাজ করছে। সোমবার সাকাল থেকেই টানা বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় অশনি’র খবরে উৎকণ্ঠা বেড়েছে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার বেড়িবাঁধের বাইরে বসবাসরতদের মধ্যে। এদিকে পায়রাসহ সব বন্দরসমূহকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুশিয়ারী সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। একই সাথে সকল মাছধরা ট্রলার সমূহকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার লালুয়া, ধানখালী, চম্পাপুর ও মহিপুর ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এছাড়া বৃষ্টির ধারা অব্যাহত থাকলে এবং ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ উপকূলে আঘাত হানলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে মুগডাল ও বোরো ধান চাষীরা। ইতোমধ্যে অধিকাংশ মাছ ধরার ট্রলার মহিপুর ও আলীপুর মৎস্য বন্দরের পোতাশ্রয়ে আশ্রয় নিলেও কিছু সংখ্যক ট্রলার এখনও গভীর সাগরে অবস্থান করছে।
লালুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শওকত হোসেন তপন বিশ্বাস জানান, লালুয়া ইউনিয়নের প্রায় আট কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নাই। জলোচ্ছ্বাস হলে ইউনিয়নের ১১টি গ্রামের ফসলী ক্ষেত, পুকুর, ঘের তলিয়ে ব্যাপক ক্ষতির আশংকা রয়েছে। মহিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফজলু গাজী বলেন, নিজামপুর ও কমরপুর পয়েন্টে বেড়িবাঁধটি ঝুঁকিপূর্ণ। ধানখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো.রিয়াজ তালুকদার বলেন, নিশান বাড়িয়া পয়েন্টের বাঁধটি ভেঙে গেলে নিশান বাড়িয়া, গন্ডামারি, পাঁচজুনিয়া ও লোন্দা গ্রাম প্লাবিত হবে।
ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি পরিচালক কলাপাড়া উপজেলা কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান জানান, ঘূর্ণিঝড় অশনি বর্তমানে দক্ষিন পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। পায়রা বন্দর থেকে ১০০০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে। বাতাসের গতি বেগ ৮৯ থেকে ১১৭ কিলোমিটার। এর ফলে বৃষ্টি হচ্ছে। এটি মূলত ভারত উপকূল অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে।
news24bd.tv/কামরুল