কুষ্টিয়ায় ঠিকাদারি কাজ বাগিয়ে নিতে আতঙ্ক সৃষ্টির উদ্দেশ্যে তিন জনকে হত্যা করে কাটা মাথা গণপূর্ত অফিসের গেটে ঝুলিয়ে রাখা মামলার রায়ে তিনজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড ও আট জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালত।
আজ মঙ্গলবার রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সরকার পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী। অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক তাজুল ইসলাম এ রায় দেন।
১০ আগস্ট ২০০৯ সকালে গণপূর্ত অফিসের প্রধান ফটকের পাশে প্রাচীরের সাথে ঝুলানো ছিল তিনটি মাথা।
নিহত একজনের ছোট ভাই আব্দুল হাই এ ঘটনায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানায় মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ ২২ জনের নামে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আসামিরা এবং ভিকটিম জাসদ গণবাহিনীর দু'টি পৃথক দলের সদস্য। এলজিইডির ১৮ কোটি টাকার কাজ বাগিয়ে নিতে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য তারা হত্যা করে কাটা মাথা গণপূর্ত অফিস এর গেটের সামনে ঝুলিয়ে রাখে।
যে তিন জনকে হত্যা করা হয় তারা হলেন, শামসুজ্জোহা, কাইয়ুম ও আইয়ুব। এদিকে, বিচারক যে তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন তারা হলে্ ফারুক সরদার, কালু ও রোহান। এরা তিনজনই পলাতক।
এছাড়াও ৮ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তারা হলেন, ফারুক মন্ডল, আলতাফ মেম্বার, লিয়াকত হোসেন, মনোয়ার হোসেন, আকাউদ্দিন, জমির উদ্দিন, নুরাল ও আক্তার মন্ডল। আর বাকি ১১ জনকে খালাস দিয়েছেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
news24bd.tv/রিমু