সড়ক পথে চাঁদাবাজি ও হয়রানির কারণে যশোরে উৎপাদিত রেণু পোনা পরিবহনে বাঁধা সৃষ্টি হচ্ছে। পথে পথে চাঁদাবাজদের হয়রানির কারণে যশোর থেকে অন্য জেলায় পোনার চালান ঠিকমতো পৌঁছাতে পারছে না বলে অভিযোগ করেছেন মৎস্য চাষীরা। বার বার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনো লাভ হচ্ছেনা বলে জানান তারা।
যশোর জেলা মৎস্য চাষী সমিতি সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে জেলার ৪০টি হ্যাচারিতে বছরে ৫৪ হাজার কেজি রেণু উৎপাদিত হচ্ছে।
মাছ চাষী ও ব্যবসায়ীরা জানান, অক্সিজেন দিয়ে সংরক্ষণের মাধ্যমে ড্রামে করে এসব মাছ নিয়ে যাওয়া হলেও পথে পথে তাদের হয়রানির শিকার হতে হয়। প্রশাসনের পাশাপাশি স্থানীয় লোকজন তাদের পথ রোধ করে। এরপর ড্রাম প্রতি ১০০ থেকে ২০০ টাকা চাঁদা দাবি করে। যে কারণে সড়ক পথে দেরি হওয়ায় তারা সময় মতো পোনা নিয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেন না।
এদিকে, যশোর-খুলনার পাশাপাশি চাঁচড়া রেণু পোনার বাজারে অনেক সমস্যা রয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। তাদের অভিযোগ, রাস্তার দু’ধারে হাট বসার কারণে বিভিন্ন সময় ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। এগুলো যেন দেখার কেউ নেই।
বিষয়টি প্রতিকারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন জেলা মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ফিরোজ খান। পোনা পরিবহনে হয়রানি রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে জানাবেন বলে মৎস্য ব্যবসায়ীদের আশ্বস্ত করেন যশোর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. শফিকুর রহমান।
মাছ চাষের সম্প্রসারণ ও লাভজনক করে তুলতে পোনা পরিবহনের হয়রানি বন্ধে সরকার কার্যকর পদক্ষেপ নেবে এমনটিই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।
রিপন/অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর