শ্যালিকার বাড়িতে যাওয়ার রাস্তা কেটে দিলো দুলাভাই!

সংগৃহীত ছবি

শ্যালিকার বাড়িতে যাওয়ার রাস্তা কেটে দিলো দুলাভাই!

অনলাইন ডেস্ক

স্ত্রীর ছোট বোনের (শ্যালিকা) সাথে ছোট ভাইয়ের প্রেমের সম্পর্ক মেনে নেননি বড় ভাই। তাই শ্যালিকার বাড়িতে যাওয়ার রাস্তাই কেটে দিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে গাইবান্ধা সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের ভাঙ্গা ডিপ বাজার এলাকায়।

এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এর প্রতিকার চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়েছেন হামিম নামে তাদের আরেকজন ভাই।

এরপরই পুরো বিষয়টি নজরে আসে। ইতোমধ্যে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান মোসাব্বির হোসেন।

জানা গেছে, হাজিপাড়া-ডিপবাজার রাস্তার পূর্ব-দক্ষিণ পাশে সাবেক ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহসিলদার মৃত সাহাবুদ্দিন প্রামানিকের বাড়ি। প্রায় ৪০ বছর আগে ওই বাড়ি করেন তিনি।

বাড়িতে যাওয়ার জন্য তারই স্ত্রীর আত্মীয় আশরাফুল আলমের জমি দিয়ে রাস্তা তৈরি করা হয়। পরবর্তীতে সাহাবুদ্দিনের ছেলে হাসিব প্রামানিকের সাথে আশরাফুল আলমের মেয়ে আফরোজা বেগমের বিয়ে হলে সাহাবুদ্দিন-আশরাফুলের সম্পর্ক আরও গভীর হয়। কিন্তু বর্তমানে রাস্তাটি কেটে নেওয়ায় এখন আর রাস্তা নেই। পরিণত হয়েছে জমির আইলে। আইলটির দুপাশেই লাগানো হয়েছে ধান।

স্থানীয়রা জানায়, মৃত সাহাবুদ্দিন তহসিলদারের পাঁচ ছেলের মধ্যে একজন হাসিব প্রামনিক। তিনি পল্লী বিদ্যুতের মিটার রিডার হিসেবে কাজ করেন। গত তিন বছর আগে হাসিব প্রামানিকের ছোট শ্যালিকার সাথে তার বিবাহিত আপন ছোট ভাই হাসান হাবিবের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি নিয়ে কয়েক দফায় নিজেদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদও হয়। এর জেরেই গত বছর হাসিব প্রামানিক শ্বশুরের জমি দিয়ে তৈরি হওয়া ছোট ভাইয়ের বাড়িতে যাওয়ার রাস্তা দু’পাশ থেকেই কেটে নেন। ওই বাড়িতে হাসিবের মাও থাকেন।

এসময় ওই বাড়িতে থাকা মৃত সাহাবুদ্দিনের আরেক ছেলে শাহিন প্রামানিকের স্ত্রী আখি বেগম জানান, রাস্তাটি প্রায় ৫ ফুট চওড়া ছিল। একটি অটো কিংবা ভ্যান নির্বিঘ্নে যেতে পারতো। গত বছর রাস্তাটি কেটে নেওয়ায় আমাদের চলাফেরা করতে খুবই অসুবিধা হয়েছে। বিশেষ করে বৃষ্টির সময় ছোট বাচ্চাদের অসুবিধা হয়।

এ বিষয়ে রামচন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোসাব্বির হোসেন রাস্তা কেটে নেওয়ার বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ফেসবুকে বিষয়টি দেখে আমি সকালে সরেজমিনে গিয়েছিলাম। কিন্তু ফেসবুকে যে ছবিটি দিয়েছে সেটি এক বছর আগের। আমি এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে বিষয়টি সমাধানের উদ্যোগ নেবো।

রাস্তা কেটে নেয়ার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আহসান হাবিব প্রামাণিক বলেন, অনেকদিন আগে আমার শ্বশুর মানবিক কারণে তার জমি দিয়ে ওই রাস্তা দিয়েছিলেন। পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে এখন রাস্তা কেটে নিয়েছেন। এতে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।

news24bd.tv/আলী