যুদ্ধ হবে গোলরক্ষক লরিস আর কুর্তোয়া মধ্যে

যুদ্ধ হবে গোলরক্ষক লরিস আর কুর্তোয়া মধ্যে

যুদ্ধ হবে গোলরক্ষক লরিস আর কুর্তোয়া মধ্যে

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে গোটা ফুটবল দুনিয়ার নজর থাকবে এ চারজনের দিকে তবে নজর একটু বেশি দিতে হবে ফ্রান্স ও বেলজিয়ামের দুই গোলরক্ষককে। ভুল করলেই এ চার ফরোয়ার্ডের যে কেউ যে সর্বনাশ করে দিতে পারবেন।

বেলজিয়ামের স্ট্রাইকার রোমেলু লুকাকু ৪ গোল করে আছেন স্ট্রাইকারদের ওপরে। রাশিয়া বিশ্বকাপের গোল্ডেন বুট জয়ের দ্বারপ্রান্তে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এ ফরোয়ার্ড।

বেলজিয়ামবাসী আজ তাকিয়ে থাকবে তার দিকে। তীক্ষ্ণ দৃষ্টি থাকবে ফ্রান্সের গোলরক্ষক হুগো লরিসেরও। বেলজিয়ামের আক্রমণভাগে লুকাকুর জুরি হ্যাজার্ড। দুর্দান্ত গতিসম্পন্ন এ দুই ফরোয়ার্ড যে কোনো দলের রক্ষণ ভেঙে চুরমার করতে পারেন যে কেনো সময়।
তাদের ঝড়টা তো সামলাতে হবে ফরাসি ডিফেন্স ও গোলরক্ষক লরিসকেই।

অন্য গোলপোস্টে একই অবস্থা থাকবে বেলজিয়াম গোলরক্ষক থিবাত কুর্তোয়ারও। ফ্রান্সের আক্রমণভাগেও যে আছেন যে কোনো সময় ম্যাচের চিত্র বদলে দেয়ার মতো দুইজন। একজন আন্তোনিও গ্রিজম্যান, অন্যজন কাইলিয়ান এমবাপে।

গ্রিজম্যান-এমবাপে কী সেটা টের পেয়েছে আর্জেন্টিনা। দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে আর্জেন্টিনাকে বিদায় করেছেন এমবাপে। জোড়া গোল করে ১৯ বছরের এ স্টাইকার হয়েছেন ম্যাচের নায়ক। যে ম্যাচে সবার চোখ ছিল মেসির দিকে। সে ম্যাচে সবার দৃষ্টি নিজের দিকে নিয়ে এসেছিলেন ১৯ বছরের এ ফরোয়ার্ড। কোয়ার্টার ফাইনালে উরুগুয়েও ভালো করে চিনেছেন এমবাপে-গ্রিজম্যানকে।

.............................................................................
আরও পড়ুন:  কে জিতবে বেলজিয়াম না ফ্রান্স? কী জানাচ্ছে উট

.............................................................................

সেন্ট পিটার্সবার্গে প্রথম সেমিফাইনালকে সেয়ানে সেয়ানে লড়াই বলছেন অনেকে। এমন কী টাইব্রেকার পর্যন্ত গড়াতে পারে ফ্রান্স-বেলজিয়ামের ম্যাচ। সে কারণেই দুই দলের গোলপোস্টের দুই তারকা ফুটবলারকেই দিতে হতে পারে চূড়ান্ত পরীক্ষা।

ফ্রান্সের গোলরক্ষক হুগো লরিস ৫ বছরের বড় বেলজিয়ামের গোলরক্ষক কুর্তোয়ার চেয়ে। দুই জনই প্রায় একই সময় থেকে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলেন। কুর্তোয়া ইংলিশ লিগে অভিষেক ২০১১ সালে চেলসির জার্সি গায়ে, পরের বছর টটেনহাম হটস্পারের হয়ে শুরু করেছেন হুগো লরিস। জাতীয় দলের জার্সি অনেক আগেই গায়ে জড়িয়েছেন লরিস, অভিষেক ২০০৮ সালে। ফ্রান্সের জার্সি গায়ে তার খেলা হয়েছে ১০২ ম্যাচ।

কুর্তোয়ার জাতীয় দলের অভিষেক ২০১১ সালে। ঠিক যে বছর তিনি যোগ দিয়েছিলেন ইংলিশ ক্লাব চেলসিতে। মাঝে অবশ্য তিন মৌসুম লোনে খেলেছেন লা লিগার দল অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদে। ইংলিশ লিগে খেলার কারণে, পরস্পর সম্পর্কে ভালো করেই জানেন লরিস ও কুর্তোয়া। আজ কে হাসবেন শেষ হাসি? সে উত্তর লুকিয়ে রেখেছে সেন্ট পিটার্সবার্গ।


 


(নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল)

সম্পর্কিত খবর