এমসি কলেজে গৃহবধূ ধর্ষণসহএকাধিক মামলার বিচার শুরু

প্রতীকী ছবি

এমসি কলেজে গৃহবধূ ধর্ষণসহএকাধিক মামলার বিচার শুরু

অনলাইন ডেস্ক

সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের সময়ে চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের মামলায় ছাত্রলীগের ৮ ক্যাডারের বিরুদ্ধে বিচার কাজ শুরু হয়েছে।  

আসামিরা হলেন- সাইফুর রহমান,  শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি, তারেকুল ইসলাম তারেক, অর্জুন লস্কর, রবিউল ইসলাম, মাহফুজুর রহমান মাসুম, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল ও মিজবাউল ইসলাম রাজন।

গ্রেপ্তারকৃত এই ৮ আসামির সকলেই আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেন।

বুধবার দুপুরে সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহিতুল হকের আদালতে পুলিশের দায়ের করা ছিনতাই ও চাঁদাবাজির মামলার অভিযোগ গঠন করা হয় বলে জানিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের পিপি রাশিদা সাইদা খানম।

 

এদিন সকালে ওই মামলায় অভিযুক্ত আট আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়।  

এর আগে, ২০২১ সালের ১৭ জানুয়ারি ধর্ষণ মামলার অভিযোগ গঠন করা হয়। কিন্তু হাইকোর্ট আলোচিত এ ঘটনায় দায়েরকৃত দু’টি মামলা একই আদালতে বিচার করার জন্য আদেশ দিলে এতোদিন ধর্ষণ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়নি। এখন দুই মামলারই একসাথে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে।

তবে সাক্ষ্যগ্রহণ কবে শুরু হবে এবিষয়ে তাৎক্ষণিক আদেশ দেননি বিচারক।  

২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে টিলাগড় এলাকার এমসি কলেজে স্বামীর সাথে বেড়াতে আসা গৃহবধূকে তুলে নিয়ে ক্যাম্পাসের ছাত্রাবাসে নিয়ে ধর্ষণ করেন কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী। এ ঘটনায় পরদিন সকালে নির্যাতিতা গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে শাহপরাণ থানায় ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমানকে প্রধান আসামি করে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২-৩ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এ ঘটনায় ২০২০ সালের ৩ ডিসেম্বর ৮ জনকে আসামি করে দু’টি মামলায় অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।  

news24bd.tv/কামরুল