কথা পরিষ্কার- আমরা এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবো না। আন্দোলন হোক আর না হোক শেখ হাসিনাকে যেতেই হবে। আমরা ঘুমিয়ে থাকি বা রাস্তায় না নামি আর যেনতেনভাবে নির্বাচন করার সক্ষমতা শেখ হাসিনার নেই বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ।
তিনি বলেন, উনি পদত্যাগ করলেই তো পারেন।
বুধবার (১১ মে) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর বলেন, আজকে চারিদিকে অনেক ধরনের ঘটনা ঘটছে। বাংলাদেশের আকাংখিত ঘটনা এখনো ঘটেনি। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আমাদের আগ্রহ ছিলো না। নানাভাবে চাপ দেয়া শুরু হয়। পরে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ভাবলেন ক্ষমতায় কে আসবে আসুক কিন্তু দেশকে বিরাজনীতিকরণের প্রক্রিয়াটা বন্ধ হবে। তবে সেটি হয়নি। সেসময় আমি প্রথম দুই নেত্রীর মুক্তি চাই। আওয়ামী লীগের নেতারা কিন্তু শেখ হাসিনার মুক্তি চায় নাই। সেই আওয়ামী লীগ নিয়েই রাজনীতি করছেন শেখ হাসিনা। আমাদের নেতা তারেক রহমান শেখ মুজিবুর রহমানের মাজারে গেছিলেন। অথচ আজকে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজার থাকবে কি না সেটা নিয়ে টানাটানি।
শ্রীলংকার পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, জনগণের মনে যে ক্ষোভ সেটারই প্রতিফলন ঘটেছে। রাজা পাকসের পরিবারের দমন পীড়ন ও লুটের বিরুদ্ধে জেগে উঠেছে সেখানকার মানুষ। তেমনই বাংলাদেশের অবস্থা। এখানেও চলছে লুটপাট আর ক্ষমতার অপব্যবহার।
মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমদ খানের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক, অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক জয়নুল আবেদীন, গণ-অধিকার পরিষদের ড. রেজা কিবরিয়া, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির মজিবুর রহমান মঞ্জু সহ মুক্তিযোদ্ধা দলের নেতারা।
news24bd.tv/আলী