বলেশ্বর নদী তীরে নির্মাণাধীন বেড়িবাঁধে ফাটল, আতঙ্ক

বলেশ্বর নদী তীরে নির্মাণাধীন বেড়িবাঁধে ফাটল, আতঙ্ক

শেখ আহসানুল করিম, বাগেরহাট

বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলায় বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পানি উন্নয়ণ বোর্ডের নির্মাণাধীন বলেশ্বর নদী তীরবর্তী বেড়িবাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। বুধবার বিকালে শরণখোলা উপজেলার গাবতলা বাজার সংলগ্ন বেড়িবাঁধের মাঝে ১৫ থেকে ২০ ফুট লম্বা এই ফাটল দেখা যায়। নির্মাণঅধীন বলেশ্বর নদী তীরবর্তী বেড়িবাঁধে ফাটল দেখায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এর আগে ফাটল এলাকার বেড়িবাঁধের বাইরে থাকা গাবতলা গ্রামের ছফেদ খানের ৫০ শতক জমি গাছপালাসহ নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে।

এদিকে নির্মাণের বাঁধের মধ্যে মাটি না দিয়ে বালু দেওয়ায় এমন ফাটল ধরেছে বলে দাবি করেছে এলাকাবাসী।

শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর-ই আলম সিদ্দিকি বলেন, নির্মাণাধীন বলেশ্বর নদী তীরবর্তী বেড়িবাঁধে ফাটল ও ভাঙ্গনের খবর পেয়ে আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি। বাস্তবায়নকারী সংস্থা সিইআইপি প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্তদের সাথে কথা বলেছি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের কথা জানিয়েছেন।

সিইআইপি প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল আলম বলেন, শুনেছি বেড়িবাঁধে ফাটল ধরেছে। আমদের লোকজন ঘটনাস্থলে যাবে। যতদ্রুত সম্ভব ফাটলের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর সুপার সাইক্লোন সিডরের আঘাতে লন্ডভন্ড হয়ে যায় বাগেরহাটসহ উপকূলীয় কয়েকটি জেলা। সরকারি হিসেবে এই দিনে প্রায় ৯০৮ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছিল সিডরের আঘাতে। আর্থিক ক্ষতি হয়েছিল কয়েকশ কোটি টাকার। স্বজন হারানো বেদনা ও আর্থিক ক্ষতি ভুলে শরণখোলাবাসীর একমাত্র দাবি ছিল টেকসই বেড়িবাঁধ। গণমানুষের দাবির প্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে সরকার ২০১৫ সালে সাড়ে তিনশ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘উপকূলীয় বাঁধ উন্নয়ন প্রকল্প (সিইআইপি)’ নামে একটি প্রকল্পের অধীনে মোরেলগঞ্জ থেকে শরণখোলা উপজেলার বগী-গাবতলা পর্যন্ত ৬২ কিলোমিটার টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মান শুরু হয়। এই বেড়িবাঁধের প্রায় ৫৮ কিলোমিটার কাজ শেষ হয়েছে।

news24bd.tv তৌহিদ

এই রকম আরও টপিক