নারীরূপে নির্জনে মানুষ ‘ডাকতেন’ মামুন!

সংগৃহীত ছবি

নারীরূপে নির্জনে মানুষ ‘ডাকতেন’ মামুন!

অনলাইন ডেস্ক

রাত গভীর হলেই বোরকা পরে বেরিয়ে পড়েন মামুন। নির্জনে দাঁড়িয়ে ঠিক করেন টার্গেট। আর মাঝরাতে কোনো পথচারীকে পেলেই ডেকে নেন নির্জনে। এরপর লুটিয়ে নেন সবকিছু।

নারীরূপী মামুনের ডাকে সাড়া দিয়ে অনেকেই নিজের সর্বস্ব হারিয়েছেন।

বুধবার মধ্যরাতেও বোরকা পরে মহিলা কলেজ গেট এলাকায় দাঁড়িয়ে সুযোগ খুঁজছিলেন মামুন। পাশেই দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন এক মোটরসাইকেল আরোহী। ঠিক এমন মুহূর্তেই হাজির হন টহল পুলিশের সদস্যরা।

কোথায় যাবেন- জিজ্ঞেস করতেই পালিয়ে যান মোটরসাইকেল আরোহী। পরে কথা হয় বোরকা পরা ব্যক্তির সঙ্গে। তার কণ্ঠ শুনে সন্দেহ হয় পুলিশের। এরপর তার মুখ খুললেই বেরিয়ে আসে আসল চেহারা।

ঘটনাটি নাটোরের বনবেলঘরিয়া পশ্চিম বাইপাস এলাকার। ৪২ বছর বয়সী মামুন একই এলাকার বাহার আলীর ছেলে। তিনি পেশায় একজন ছিনতাইকারী। মোটরসাইকেলে থাকা সেই ব্যক্তির নাম রনি। তিনি মামুনের সহযোগী। বোরকা পরে নারী সেজে কাউকে নির্জন স্থানে ডেকে নিয়ে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ছিনতাই করা তাদের পেশা।

নাটোর সদর থানার এএসআই মো. সাখাওয়াত হোসেন জানান, বুধবার রাত ২টার দিকে  নাটোর-রাজশাহী মহাসড়কের মহিলা কলেজ গেট এলাকায় দায়িত্ব পালন করছিল পুলিশের একটি টিম। এ সময় কলেজের সামনে নির্জন রাস্তায় বোরকা পরা এক নারীকে একজন মোটরসাইকেল আরোহীর সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে কাছে যান পুলিশ সদস্যরা। কোথায় যাবেন জানতে চাইলে পুলিশ দেখে মোটরসাইকেলচালক পালিয়ে যান। তখন বোরকায় মুখ ঢাকা ওই নারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার কণ্ঠ শুনে সন্দেহ হয়। তখন বোরকার মুখ খুলতে বললে তিনি তর্ক শুরু করেন। হঠাৎ পায়ের জুতা দেখে পুলিশ বুঝতে পারে তিনি নারী নন, পুরুষ। এরপর পুলিশ বোরকার মুখ খুলে দেখে একজন পুরুষ। তার শরীর তল্লাশি চালিয়ে একটি ধারালো চাকু ও রডের পাইপ উদ্ধার করা হয়। মামুনের বিরুদ্ধে নাটোর সদর থানায় ছিনতাই ও চুরির চারটি মামলা রয়েছে।

নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহম্মেদ বলেন, মামুনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। নারীরূপী মামুনের ডাকে যারাই সাড়া দিতেন তারাই বিপদে পড়েছেন। অভিনব এ ছিনতাই কাজে জড়িত পুরো চক্রকে ধরতে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।

news24bd.tv/আলী

এই রকম আরও টপিক