ইউক্রেনে আক্রমণের পর থেকে পশ্চিমা মিত্ররা রাশিয়ারও ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দেয়। বিশ্বব্যাপী নিষেধাজ্ঞা ট্র্যাকিংয়ের ডেটাবেজ- ক্যাস্টেল্লুম ডটআই সূত্রে জানা যায়, গত ৮ মার্চ নাগাদ রাশিয়ার নতুন করে ২,৭৭৮টি নিষেধাজ্ঞা দেয় পশ্চিমা দুনিয়া। তখন পর্যন্ত মোট নিষেধাজ্ঞার সংখ্যা ছিল ৫,৫৩০। মার্চ ও এপ্রিলের পরের দিনগুলোয় আরো নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইইউ ও আমেরিকা।
রাশিয়ার পক্ষ থেকে গত বুধবার দেশটির রাষ্ট্রীয় সংস্থা গাজপ্রমকে নিজেদের ইউরোপীয় সাবসিডিয়ারি গ্যাস কোম্পানিগুলোকে গ্যাস দিতে নিষেধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে ইউক্রেনের ভেতর দিয়ে যাওয়া একটি রুশ গ্যাসলাইন বন্ধ করে দিয়েছে ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ। গাজপ্রমের ইউরোপীয় সাবসিডিয়ারি সংস্থাগুলোকে বিশেষ করে গাজপ্রম জার্মানিকে গ্যাস সরবরাহে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এর বাইরে পোল্যান্ডের ইয়ামাল-ইউরোপ পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দেয় মস্কো। ওই পাইপলাইনের মাধ্যমে রাশিয়ার গ্যাস ইউরোপে সরবরাহ করা হয়ে থাকে।
রুশ প্রেসিডেন্টের বাসভবন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, নিষেধাজ্ঞা মানে সুবিধা বন্ধ করে দেওয়া। এর অর্থ যেসব প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হচ্ছে, তাদের সঙ্গে আর কোনো সম্পর্ক থাকবে না। তারা গ্যাস সরবরাহের ক্ষেত্রে আর অংশ নিতে পারবে না।
বুধবার রাশিয়ার সরকারি ওয়েবসাইটে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম প্রকাশ করা হয়। ইউক্রেনে হামলা চালানোর কারণে রাশিয়ার ওপর যেসব দেশ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল, এসব প্রতিষ্ঠান সেসব দেশের।
বৃহস্পতিবার জার্মানির পক্ষ থেকে বলা হয়, গাজপ্রম জার্মানির কিছু সহযোগী প্রতিষ্ঠান নিষেধাজ্ঞার কারণে গ্যাস দিতে পারছে না। এদিকে পাইপলাইন বন্ধের কারণে রাশিয়া থেকে আসা গ্যাস-সংকটে পড়েছে স্লোভাকিয়া।
এদিকে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা গ্যাস সরবরাহ লাইনের নিয়ন্ত্রণ না পাওয়া পর্যন্ত রাশিয়া থেকে ইউরোপের গ্রাহকের কাছে যাওয়া শখরানোভকা লাইন খুলবে না। ওই লাইনটি ইউক্রেনের লুহানস্ক অঞ্চল দিয়ে গেছে।
news24bd.tv/আলী