ভয়েজ অব আমেরিকার সাংবাদিক আমির খসরুর মায়ের রহস্যজনক মৃত্যু

সংগৃহীত ছবি

ভয়েজ অব আমেরিকার সাংবাদিক আমির খসরুর মায়ের রহস্যজনক মৃত্যু

ইমন চৌধুরী, পিরোজপুর

পিরোজপুরে নিজ বাড়ি থেকে ভয়েস অফ আমেরিকার সাংবাদিক আমির খসরুর মায়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  শহরের সিআই পাড়ার বাড়ি থেকে সোমবার সকাল ৯টার দিকে ৭৫ বছর বয়সী সেতারা হালিমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।  সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদুজ্জামান  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রতিবেশীরা জানান, দোতলা বাড়ির দ্বিতীয় তলায় একাই থাকতেন সেতারা।

নিচ তলা ভাড়া দেয়া। প্রতিদিন তিনি সকালে ওঠেন। তবে সোমবার সকালে তাকে দেখতে না পেয়ে সাড়ে ৮টার দিকে ডাকতে যান এক ভাড়াটিয়া।  ঘরের জিনিসপত্র এলোমেলো দেখে তারা পুলিশকে খবর দেন।
পুলিশ ঘর থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।

এ বিষয়ে সিতারা হালিমের মেয়ে সালাম আরজু জানান, গতকাল রোববার রাতে সর্বশেষ তার মায়ের সঙ্গে কথা হয়। আজ সকালে তাদের বাসায় রং করার জন্য আব্দুল কুদ্দুস নামের একজন বাসায় এসে ডাকাকাকি করলেও তার মা দরজা না খুললে তিনি বাসার নিচতলার ভাড়াটের কাছে বিষয়টি জানান।

অনেকক্ষণ পর আবার ডাকাডাকি করলেও দরজা না খুললে ভাড়াটে ও রংমিস্ত্রি পেছনের দরজা দিয়ে ডাকতে গেলে তারা দেখতে পান পেছনের দরজা খোলা। তখন তারা বাসার ভেতরে ঢুকে দেখতে পান সিতারা হালিম মেঝেতে পড়ে আছেন। এ সময় তাকে বিষয়টি ফোন দিয়ে জানালে তিনি ও তার স্বামী বাসায় এসে তার মাকে ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন।

সালাম আরজু আরও দেখেন, তার মায়ের গলায় আঘাতের চিহ্ন আছে এবং ঘরের আলমারি ও আসবাবপত্র এলোমেলোভাবে পড়ে আছে। এ সময় তারা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে শ্বাসরোধ করে সিতারা হালিমকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. স্বাগত হালদার জানান, মৃত অবস্থায় সিতারা হালিম নামের এক বৃদ্ধ নারীকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তার গলায় আঘাতের চিহ্ন আছে।

পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) খায়রুল হাসান জানান, আজ সকালে খবর পেয়ে পুলিশ সিতারা হালিমের মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শ্বাসরোধ করে রাতে তাকে হত্যা করে ঘরের ভেতরে ফেলে রাখা হয়েছিল। এ বিষয়ে পুলিশ তদন্ত করে দেখছে এবং আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।

news24bd.tv/রিমু