রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে ঢাকা মহানগর এলাকায় কেউ যাতে আগুন সন্ত্রাস বা নাশকতা করতে না পারে সেদিকে পুলিশ কর্মকর্তাদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম। নির্বাচনকে সামনে রেখে ঢাকা শহরে রাজনৈতিক কর্মসূচি বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে আজ সোমবার সকালে রাজারবাগের বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় তিনি এই নির্দেশনা দেন।
কমিশনার বলেন, আইন-শৃঙ্খলার যাতে অবনতি না ঘটে সে দিকে সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। প্রকৃত অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
সভায় এপ্রিলে রাজধানীজুড়ে সংঘটিত নানা অপরাধের পর্যালোচনা করেন পুলিশের কর্মকর্তারা। পাশাপাশি ভবিষ্যতে রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে নাশকতা হলে তা ঠেকাতে নানা কৌশল নিয়েও আলোচনা হয়।
ডিএমপি কমিশনার গেল রমজান মাস ও ঈদে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক থাকার কথা উল্লেখ করে তিনি ডিএমপির সকল স্তরের অফিসার ও ফোর্সদের ধন্যবাদ জানান। ডিএমপি কমিশনার বলেন, চুরি-ছিনতাই প্রতিরোধ ও মাদকের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে। ফুটপাত দখলমুক্ত রাখতে ক্রাইম বিভাগ ও ট্রাফিক বিভাগকে একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশও দেন তিনি।
অপরাধ পর্যালোচনা সভায় গত এপ্রিলে ঢাকা মহানগরের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা বিধানসহ ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে শ্রেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তাদের পুরস্কৃত করেন ডিএমপি কমিশনার। গত মাসে ৮টি ক্রাইম বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে তেজগাঁও বিভাগ ও শ্রেষ্ঠ থানা হয়েছে রমনা থানা। ৯টি গোয়েন্দা (ডিবি) বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে গুলশান বিভাগ। ৮টি ট্রাফিক বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে লালবাগ ট্রাফিক বিভাগ। এছাড়াও ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পিআর বিভাগসহ সাতটি বিভিন্ন বিভাগ ও বিভিন্ন পদ মর্যাদার ১০২ জন কর্মকর্তা এবং ফোর্সকে বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হয়।
অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশনস্) কৃষ্ণ পদ রায়, অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান, অতিরিক্ত কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামানসহ যুগ্ম কমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন।
news24bd.tv/আলী