শেরপুরে বড়বোনের সাথে কবিরাজের বাড়ি যাবার পথে জোরপূর্বক ধরে লেবু বাগানে নিয়ে এক স্বামী পরিত্যক্তা তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে দুই যুবকের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় আজ মঙ্গলবার ভোররাতে সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের লছমনপুর নয়াপাড়া গ্রাম থেকে অভিযুক্ত হাফিজুর রহমান মন্টু (৩৫) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অপর অভিযুক্ত মো. আলম মিয়া (২৭) ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেপ্তার মন্টুকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
একইসাথে জেলা সদর হাসপাতালে ধর্ষিতা তরুণীর ডাক্তারি পরীক্ষা ও আদালতে ২২ ধারার জবানবন্দি গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী স্বামী পরিত্যক্তা ওই তরুণী গাজীপুরে থাকেন। তিনি গত তিনদিন আগে শেরপুর শহরের চকপাঠক মহল্লায় তার বড়বোন ও বোনজামাইয়ের ভাড়া বাড়িতে বেড়াতে আসেন। গতকাল সোমবার বিকেল পাঁচটার দিকে তিনি তার বড়বোনের সাথে সদর উপজেলার লছমনপুর নয়াপাড়া গ্রামের কবিরাজ হাবিবুল্লাহ সাধুর বাড়ি যাওয়ার পথে লছমনপুর নয়াপাড়া এলাকায় মো. হাফিজুর রহমান মন্টু ও মো. আলম মিয়া তাদের দুই বোনকে জোরপূর্বক ধরে পার্শ্ববর্তী একটি লেবু বাগানের মধ্যে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ হান্নান মিয়া জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণীর বড়বোন বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ইতিমধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পলাতক অপর অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। সেইসাথে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ।
news24bd.tv/রিমু