ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা স্কুলছাত্রী, সাব্বিরের ‘বিয়ে নাটক’

সংগৃহীত ছবি

ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা স্কুলছাত্রী, সাব্বিরের ‘বিয়ে নাটক’

অনলাইন ডেস্ক

ধর্ষণে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন ১৪ বছর বয়সী সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে বিয়ের নাটক সাজিয়েছে অভিযুক্তের পরিবার। কিন্তু সপ্তাহ না যেতেই ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীকে ঘর থেকে তাড়িয়ে দেন প্রেমিকের পরিবারের লোকজন। এ ঘটনায় সোমবার রাতে ২১ বছর বয়সী সাব্বির হোসেনের বিরুদ্ধে মদন থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগীর বাবা।

 

ঘটনাটি ঘটেছে নেত্রকোনার মদন উপজেলার কাইটাল ইউনিয়নের বাড়রি গ্রামে। অভিযুক্ত সাব্বির একই গ্রামের হিরণ মিয়ার ছেলে। তিনি কেন্দুয়া কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র।

মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম বলেন, স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে।

হিরণ নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদেরও গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, দেড় বছর আগে সাব্বিরের সঙ্গে ওই স্কুলছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর বিয়ের প্রলোভনে ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন সাব্বির। একপর্যায়ে শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটলে বিষয়টি মেয়েটির পরিবারের লোকজনের নজরে আসে। পরে ডাক্তারি পরীক্ষা করে জানতে পারেন মেয়েটি সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এরপর বিষয়টি সাব্বিরের পরিবারের লোকজনদের জানান তারা। তবে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে আদালতের মাধ্যমে এফিডেভিট করে পুত্রবধূ হিসেবে মেয়েটিকে ঘরে তোলেন তারা। সপ্তাহ যেতে না যেতেই ছেলেকে বাড়ি থেকে সরিয়ে স্কুলছাত্রীকে তাড়িয়ে দেয় অভিযুক্তের পরিবার।

ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর বাবা বলেন, আমার মেয়ে তার নানার বাড়িতে যাওয়া-আসার পথে প্রেমের প্রস্তাব দিতো সাব্বির। প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আমার মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। বর্তমানে মেয়েটি সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা। আমি এর বিচার চাই।

news24bd.tv/আলী