ইউরোপে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ইরানি কূটনৈতিক মিশন জড়িত বলে অভিযোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ অভিযোগকে ‘হাস্যকর’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে তেহরান।
ইরান বলেছে, বিশ্বের সমসাময়িক ইতিহাসে বরং মার্কিন দূতাবাসগুলোর এ ধরনের অবৈধ তৎপরতার অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে। উল্টো তারাই অন্যকে দোষ চাপিয়ে দিচ্ছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও মঙ্গলবার সংযুক্ত আরব আমিরাতে এক সংক্ষিপ্ত সফরের সময় স্কাই নিউজ আরাবিয়াতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি অভিযোগ করেন, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে সন্ত্রাসী হামলার কাজে ইরান তার দূতাবাসগুলোকে ব্যবহার করছে।
এর প্রতিক্রিয়ায় ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বাহরাম কাসেমি বুধবার পম্পেও’র অভিযোগকে ভিত্তিহীন, বিভ্রান্তিকর এবং ইরানের বিরুদ্ধে মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধের অংশ বলে বর্ণনা করেন।
ইরান-ইউরোপের সম্পর্ক অনেক ভালো দাবি করে তিনি বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক শক্তিশালী করার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক আইন মেনে ইরানের কূটনৈতিক মিশনগুলো পরিচালিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের বৈদেশিক সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করতেই মার্কিন সরকার এ ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছে।
আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে যাচ্ছে দাবি করে ইরানের এ মুখপাত্র বলেন, মার্কিন দূতাবাসগুলো বরং বিশ্বের বহু দেশে অবৈধ গুপ্তচরবৃত্তি থেকে শুরু করে অসংখ্য গুপ্তহত্যা ও নাশকতামূলক তৎপরতা চালিয়েছে। এসব কাজে শত শত মার্কিন নিরাপত্তা কর্মকর্তা অংশ নিয়েছে। বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে আমেরিকার এসব অবৈধ তৎপরতার খবর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। মার্কিন সরকার আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে বলে কাসেমি অভিযোগ করেন।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)
