দ্বিতীয় তিস্তা সেতু সবার চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ায় খুলেছে উত্তরাঞ্চলের পিছিয়ে পড়া জেলা লালমনিরহাটের উন্নয়নের নতুন দ্বার। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির সাথে সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য, কৃষি, শিক্ষা, চিকিৎসাসহ পুরো অঞ্চলের কয়েক লাখ মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থা ও জীবনযাত্রার মানে প্রভাব ফেলছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, পাশাপশি অবস্থান হলেও লালমনিরহাট ও বিভাগীয় শহর রংপুরের মধ্যকার যোগাযোগের অন্তরায় তিস্তা নদী। সেই বাধা কাটাতে ২০১২ সালে ১২ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১২১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ব্যয়ে তিস্তা নদীর ওপর ৮৫০ মিটার দীর্ঘ লালমনিরহাটের কাকিনা ও রংপুরের মহিপুরে দ্বিতীয় তিস্তা সড়ক সেতুর নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন।
এ বছরের শুরুতে সেতুটির কাজ শেষ হওয়ার পর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের অপেক্ষা না করে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে জনগণের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে গেল মার্চ মাসে তা চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়।
এলাকাবাসীরা জানান, সেতুটি এ অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্য ও উৎপাদিত কৃষি পণ্য বাজারজাতে ভূমিকা রাখছে। এছাড়া পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দরের সঙ্গে সড়কপথে বিভাগীয় শহর রংপুর ও ঢাকার দূরত্ব কমেছে প্রায় ৬০ কিলোমিটার। এতে তারা কম সময়ে কাঁচামালসহ কৃষিজাত পণ্য পরিবহনে সক্ষম হচ্ছেন।
তাছাড়া বুড়িমারী স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীদের বাণিজ্যও দ্বিগুণ বৃদ্ধির পাশাপাশি স্বল্প সময়ে বন্দরের গুরুত্ব অনেকগুণ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছেন তারা।
অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর