চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল থানার এসআই রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে জনপ্রতিনিধিসহ সাধারণ মানুষকে মারধর ও ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগে জানা গেছে, গত শনিবার রাতে ঘরছাড়া এক প্রেমিক যুগলকে আটক করে নাচোল থানা-পুলিশ। পরেরদিন রোববার সকালে তাদের স্বজনরা বিষয়টি নিরসনের জন্যে থানায় আসলে এসআই রেজাউল উভয় পক্ষের কাছে মোটা অংকের উৎকোচ দাবি করেন। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগীরা এসআই রেজাউল করিমকে ছয় হাজার টাকা দিতে চাইলে তিনি আরো টাকা দাবি করেন।
এদিকে উৎকোচ দিতে ভুক্তভোগীদের দেরি হলে এসআই রেজাউল করিম এসময় থানায় আসা সাবেক পৌর কাউন্সিলর গোলাম রাব্বানী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রেলস্টেশন এলাকার সাদেক, অ্যাডভোকেট একরামুল হকের ছোট ভাই আনারুল ইসলাম, ব্যবসায়ী পলাশ, ঢাকা বারডেম হাসপাতালের নার্স সালেহা খাতুনসহ আরো প্রায় দশজন পুরুষ ও ছয়জন মহিলাকে বিনা ক্ষমতার অপব্যবহার করে থানা চত্বর থেকে গ্রেপ্তার করে হাজত খানায় রাখে। এসময় আটকদের মধ্যে সাবেক পৌর কাউন্সিলর গোলাম রাব্বানী ও ফোন ব্যবসায়ী পলাশকে কোনো কারণ ছাড়াই এসআই রেজাউল করিম সকলের মধ্যে বেধড়ক পিটুনী দেয়।
বিষয়টি জানতে পেরে রোববার দুপুরে পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রশিদ খান ঝালু এবং উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শোাভন মাহমুদ থানা গিয়ে মুচলেকা দিয়ে আটকদের ছাড়িয়ে নেন।
অন্য একটি সূত্র জানায়, গত এপ্রিল মাসে পৌর এলাকার গুঠইল গ্রামে এক নারী ঘটিত মামলার আসামি ধরতে গিয়ে আসামি না পেয়ে এসআই রেজাউল করিম ওই রাতে কালের কন্ঠের চীপ রিপের্টার আব্দুল্লাহ আল মামুনের বাবার বাসার দরজা ভেঙ্গে ফেলে।
এ ব্যাপারে এসআই রেজাউলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ অস্বীকার করেন।
তিনি বলেন, আমি না অফিসাররা ক্ষমা চেয়েছে। এছাড়া তিনি উল্টো প্রশ্ন করে বলেন, সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল মামুনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনিই বলবেন। তবে সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল মামুন বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এসআই রেজাউল নাচোলে বিভিন্ন অপকর্ম করে চলেছে বলে তিনিও শুনেছেন।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/রফিক./তৌহিদ)