কালবৈশাখী ঝড়ে আমের কেজি ২ টাকা

সংগৃহীত ছবি

কালবৈশাখী ঝড়ে আমের কেজি ২ টাকা

অনলাইন ডেস্ক

কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে শত শত মণ আম ঝড়ে পড়েছে। এতে আমের জেলার নওগাঁর সাপাহার, পোরশা, নিয়ামতপুর, পত্নীতলা, আত্রাই, রানীনগর আম বাগানগুলোতে আর সেই আম বিক্রি হচ্ছে মাত্র ২ থেকে ৩ টাকা কেজিতে। আম ঝরে যাওয়ায় চরম হতাশায় পড়েছেন স্থানীয় আম চাষিরা। ঝরে পড়া আম কেনার ধুম পড়েছে ব্যবসায়ীদের মাঝে।

ব্যবসায়ীরা প্রতি কেজি আম কিনছেন ২ থেকে ৩ টাকা।  

স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্ত আম চাষিরা বলছেন, ঝড়ের কবলে বাগানের প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ আম ঝরে গেছে। ল্যাংড়া, নাক ফজলী, আম রুপালী, বারি-৪সহ বিভিন্ন জাতের আম ঝরে যাওয়ায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন চাষিরা। তবে ল্যাংড়া ও নাক ফজলী জাতের আম বেশি ঝরেছে।

সাহাপাড়া গ্রামের আম চাষি তরুণ সাহা বলেন, ২০ বিঘা বাগানে প্রায় ১৫ মণ আম ঝরে গেছে। যা বাজারে বিক্রি করতে এসে মাত্র ২-৩ টাকা কেজিতে। তিনি আরও বলেন, গত রাতের কালবৈশাখীর তাণ্ডব আমের উপর প্রভাব ফেলেছে। যাতে করে এ বছরে আম বাজারের গতি অনেকটা পাল্টে যেতে পারে।  

আম চাষি সাখওয়াত হোসেন জানান, ‘আমার প্রায় ১শ মণ আম ঝরে গেছে। শ্রমিক লাগিয়ে আম কুড়িয়ে বাজারে এনে বিক্রয় করতে হচ্ছে ২-৩ টাকা কেজি। যাতে করে শ্রমিকের মজুরি ও গাড়ি ভাড়াও ওঠছে না। আম উৎপাদনের ক্ষেত্রে এই এলাকার সুনাম সারাদেশেই রয়েছে। তবে যদি আম সংরক্ষণাগার বা কোন জুস কোম্পানি থাকতো তাহলে কাঁচা আম বিক্রয়ে এতোটা লোকসান বহন করতে হতো না আম চাষিদের।  

নওগাঁর আম ব্যবসায়ী মাহবুব আলম জানান, ৮০ থেকে ১২০ টাকা মণ আম কিনছি। আমরা এসব আম আঁচার কোম্পানিতে বিক্রি করবো। সেক্ষেত্রে হয়তো প্রতি মণ আমে ২০-২৫ টাকা লাভ হতে পারে। সাপাহার উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্যাহ আল মামুন জানান, সংশ্লিষ্ট কৃষি দপ্তরের জরিপ অনুযায়ী পুরো উপজেলায় মোট ২ শতাংশ আম ঝরেছে।

news24bd.tv/কামরুল