সিরাজগঞ্জে বন্যায় সংকট শুরু

যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ৩৪ সে.মি. এবং কাজিপুর পয়েন্টে ৩৮ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যার কারণে সিরাজগঞ্জ সদর, কাজিপুর, বেলকুচি, শাহজাদপুর ও চৌহালী উপজেলার প্রায় ২২টি ইউনিয়নসহ সিরাজগঞ্জ পৌরসভার কয়েকটি গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। প্রায় ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ছে।  

রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অনেকেই ওয়াপধাবাঁধে আশ্রয় নিয়েছে। বন্যা এলাকায় টিউওয়েব তলিয়ে যাওয়ায় বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। শুকনো খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে। শিশু খাদ্যেরও সংকট দেখা দিয়েছে। ফসল তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। গো-খাদ্যের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। ল্যাট্টিন তলিয়ে যাওয়ায় প্রাকৃতিক কাজেও বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। সবমিলিয়ে বন্যা কবলিতদের মধ্যে বন্যাকালীন সংকট শুরু হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত বন্যাকবলিতদের মধ্যে সরকারি-বেসরকারি কোন সহায়তা পৌঁছেনি।  

অন্যদিকে, পানি বৃদ্ধির ফলে প্রতিনিয়ত যমুনার অরক্ষিত অঞ্চল চৌহালী, এনায়েতপুর, শাহজাদপুর ও কাজিপুরে ব্যাপক ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। ভাঙ্গনে ইতোমধ্যে তিন শতাধিক বসতভিটাসহ ফসলি জমি বিলীন হয়ে গেছে। বসতভিটা হারানো মানুষগুলো খোলা আকাশের নীচে মানবেতর জীবনযাপন করছে।  

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আকতারুজ্জামান জানান, বন্যা কবলিত এলাকায় ৯১১ মে.টন চাল সোমবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। দু'একদিনের মধ্যেই বিতরণ শুরু হবে। এছাড়াও চৌহালী এলাকায় প্রায় ৩ হাজার শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।  

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, আগামী ২২-২৩ জুন পর্যন্ত যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। এরপর পানি কমবে। এখনো বন্যার আশঙ্কাজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। চৌহালী ও শাহজাদপুরের ভাঙন রোধে কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

news24bd.tv/কামরুল