জয়ের জন্য আরিফুলের প্রয়োজন ৮১ ভোট

খুলনা ও গাজীপুরের পরে রাজশাহী ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীরা। এর মধ্যে রাজশাহী সিটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং অফিসার। বরিশাল সিটি নির্বাচনে আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণা না হলেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ ৮৭ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে আছেন। ফলে বিজয় নৌকার পক্ষেই যাবে যা ধরে নেওয়া হয়েছে। তবে ব্যতিক্রম হয়েছে সিলেট। এখানে ১৩৪ টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৩২ টি কেন্দ্রের ফলাফলে ৪,৬২৬ ভোটে এগিয়ে আছেন বিএনপির প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী। দুটি কেন্দ্র স্থগিত থাকায় ফলাফল দেওয়া হয়নি। ভোটের হিসেবে সিলেটে জয়ের পাল্লা বিএনপির দিকেই ঝুঁকে আছে।

১৩২টি কেন্দ্রের ফলাফলে ধানের শীষ প্রতীকে আরিফুল হক পেয়েছেন ৯০ হাজার ৪৯৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বদর উদ্দিন আহমদ কামরান নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৮৫ হাজার ৮৭০ ভোট। ভোটের পার্থক্য ৪,৬২৬। দুই প্রধান প্রার্থীর ভোটের ব্যবধান স্থগিত দুটি কেন্দ্রের ভোটের চেয়ে কম হওয়ায় সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদের ফল ঘোষণা হয়নি।

স্থগিত দুটি কেন্দ্রে মোট ভোট সংখ্যা ৪ হাজার ৭৮৭টি। শীর্ষ দুই প্রার্থীর ভোটের ব্যবধান এর চেয়ে কম ৪ হাজার ৬২৬টি হওয়ায় ফল ঘোষণা করেননি রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলীমুজ্জামান। স্থগিত দুই কেন্দ্রের ফলে তাদের ভাগ্য নির্ধারণ হবে। ওই দুই কেন্দ্রে শতভাগ ভোট পড়লে আরিফুল হককে জিততে প্রয়োজন হবে আর ৮১ ভোট। সেক্ষেত্রে আরিফুল হকের ভোট সংখ্যা দাঁড়াবে ৯০,৫৭৭। বাকি থাকবে ৪,৭০৬ ভোট, যার সবগুলো আওয়ামী লীগ প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের পক্ষে পড়লেও তার মোট ভোট গিয়ে দাঁড়াবে ৯০,৫৭৬। অর্থাৎ, জয়ের জন্য স্থগিত দুই কেন্দ্র থেকে বিএনপি প্রার্থীকে পেতে হবে ৮১ ভোট, আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে পেতে হবে ৪,৭০৭ ভোট।