কাবুলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আত্মঘাতী হামলা, নিহত ১৯

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আত্মঘাতী বোমা হামলায় অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালের এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কয়েক ডজন। তবে এখনও হামলার দায় স্বীকার করেনি কেউ। খবর বিবিসির।

কাবুল পুলিশের বরাতে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যমটি জানায়, কাবুলের একটি টিউশন সেন্টারে আত্মঘাতী হামলায় অন্তত ১৯ জন নিহত এবং অনেকে আহত হয়েছেন। শহরের পশ্চিমাঞ্চলের দাশত-ই-বারচি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ওই টিউশন সেন্টারের কর্মকর্তারা বলছে, আত্মঘাতী হামলার সময় শিক্ষার্থীরা একটি অনুশীলন পরীক্ষায় বসেছিল।

এই অঞ্চলে যারা বাস করে তাদের মধ্যে অধিকাংশই শিয়া সংখ্যালঘু হাজরা গোষ্ঠীর মানুষ। এই গোষ্ঠীর লোকেরা অতীতে অতি-কট্টরপন্থী ইসলামিক স্টেট এবং অন্যান্যদের হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে।

হামলার স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেল ও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, হাসপাতালের বারান্দায় সারি সারি লাশ রাখা হয়েছে। আরেক ভিডিওতে ক্ষতিগ্রস্ত ক্লাসরুমের ধ্বংসস্তূপ এবং উল্টে যাওয়া টেবিল দেখানো হয়।

কাবুল পুলিশের মুখপাত্র খালিদ জাদরান বলেন, ‘সরকারি তথ্য অনুযায়ী হামলায় ১৯ জন নিহত ও ২৭ জন আহত হয়েছেন। প্রবেশিকা পরীক্ষা চলার সময় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই হামলার ঘটনা ঘটে। ’

তবে আফগানিস্তানে সাধারণত শুক্রবার স্কুল বন্ধ থাকে।

হামলার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আব্দুল নাফি টাকর বলেন, ‘নিরাপত্তা দল ঘটনাস্থলে রয়েছে। তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। আমরা এ হামলার নিন্দা জানায়। বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ করা শত্রুর অমানবিক নিষ্ঠুরতা ও নৈতিক মানদণ্ডের অভাব প্রমাণ করে। ’

২০১ সালের আগস্টে আফগানিস্তানের দখল নেয় তালেবান। এরপর থেকে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি দাবি করেছিল যে তারা কয়েক দশকের যুদ্ধের পরে দেশকে সুরক্ষিত করছে। কিন্তু সাম্প্রতিক মাসগুলোতে আফগানিস্তানে বহু মসজিদ এবং বেসামরিক এলাকায় ধারাবাহিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

news24bd.tv/মামুন