নন্দীগ্রামে সেই অসহায় জাপানেতার খোঁজ নিলেন জিএম কাদের

হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ যখন রাষ্ট্র প্রধান, সেসময় দাপুটে প্রভাবশালী জাতীয় পার্টির নেতা ছিলেন বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটগ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রশিদ। ছিলেন থানা জাতীয় পার্টির সভাপতি। সেই আব্দুর রশিদ এখন নিঃস্ব। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন নিঃস্ব আব্দুর রশিদের পাশে দাঁড়ালো জাতীয় পার্টি। চিকিৎসাসহ সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর নেন নেতারা।

জাপা চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের এমপির নির্দেশে আব্দুর রশিদকে দেখতে আজ শনিবার দুপুরে হাসপাতালে যান দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বগুড়া-৪ আসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা মো. ফারুক আহমেদ। সঙ্গে ছিলেন নন্দীগ্রাম উপজেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক মেহেদী হাসান মাফু, সদস্য সচিব নজরুল ইসলাম দয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক জহুরুল হক মাস্টার, যুগ্ম সদস্য সচিব রাসেল মাহমুদ, জাপানেতা আমিনুল ইসলাম জুয়েল, মিজানুর রহমান, আইযুব আলী, এমদাদুল হক প্রমুখ।

এসময় আব্দুর রশিদকে লুঙ্গি, পাঞ্জাবীসহ বস্ত্র ও ফল দেওয়া হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ ইকবাল মাহমুদ লিটনের সঙ্গে চিকিৎসা বিষয়ে আলোচনা করেন নেতারা।

এক সময়ের দাপুটে প্রভাবশালী জাপানেতা আব্দুর রশিদ ছিলেন চারটি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে গোলাপ ফুল মার্কা নিয়ে নির্বাচন করেছিলেন। জমিজমা, বাড়িঘর, স্ত্রী-সন্তান সবই ছিল এক সময়। সব হারিয়ে ৮৮ বছর বয়সী আব্দুর রশিদের ঠাঁই হয় নন্দীগ্রাম উপজেলার কুন্দারহাট বাসস্ট্যান্ডের যাত্রী ছাউনীতে। এক বছরের বেশি সময় ধরে তিনি সেখানেই থাকতেন। যাত্রী ছাউনী থেকে বৃদ্ধ রশিদকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে উপজেলা প্রশাসন।  

news24bd.tv/রিমু