‘আরও সংকটে পড়বে’ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অর্থনীতি

বিশ্বজুড়ে চলমান অর্থনৈতিক মন্দায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোকে বিপদ সংকেত দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা। তাদের পূর্বাভাস বলছে, ২০২৩ সালে এ অঞ্চলের বড় অর্থনীতির দেশগুলোর প্রবৃদ্ধি আরও সংকটে পড়বে। জাতিসংঘের প্রতিবেদন বলছে, উন্নত দেশের রাজস্বনীতি বৈশ্বিক মন্দার এমন ঝুঁকি তৈরি করেছে। যদিও আইএমএফ মনে করছে, সঠিক রাজস্ব নীতির মাধ্যমে এখনো মন্দা এড়ানো সম্ভব।  

১৯৭০ সালের মন্দার পর বৈশ্বিক অর্থনীতি এখন সবচেয়ে সংকটে। দিন দিন বাড়ছে মূল্যস্ফীতি; যা নিয়ন্ত্রণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো নীতি সুদহার একযোগে বাড়িয়েই চলেছে। বিশ্বের অন্তত ৭৭টি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সাম্প্রতিক সময়ে নীতি সুদহার বাড়িয়েছে। এর জেরে বিশ্ব অর্থনীতি ২০২৩ সালে মন্দার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক।

জাপান সেন্টার ফর ইকোনমিক রিসার্চ এবং নিক্কেই এশিয়ার যৌথ গবেষণায় বলা হচ্ছে, আগামী বছর ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ডের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ৩ শতাংশ হবে। মূলত মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার আরও বাড়ানোর পরিকল্পনায় এশীয় দেশগুলোর মুদ্রার মানে বড় পতন দেখা দিতে পারে এবং দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরও চাপের মুখে পড়বে।

এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ আলবার্ট পার্ক বলেন, ‘উন্নয়নশীল এশিয়ার প্রবৃদ্ধি দুর্বল হতে থাকবে। আর্থিক সংকট থেকে মুক্তি পেতে মুদ্রানীতিতে যে পরিবর্তন আনছে তা হবে ভয়াবহ। ’ 

আইএমএফ বলছে, এখনো সংকট থেকে উত্তরণ সম্ভব, যদি দেশগুলোর সরকার জনগণের ওপর চাপ না সৃষ্টি করে সঠিক রাজস্ব নীতি চালু করে।  

আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিভা জানান, মুদ্রাস্ফীতি হচ্ছে দরিদ্রদের ওপর বাড়তি কর, যেভাবে দেশে দেশে এটি বাড়ছে, তাতে মন্দা আসন্ন। তবে  কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো যদি সঠিক পদক্ষেপ নেয় তা এড়ানো সম্ভব।   

সেইসঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার নিয়ন্ত্রণ না করে বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার কথাও বলছেন বিশ্লেষকরা। news24bd.tv/ইস্রাফিল