<h1 class="headline margin-bottom-10" style="box-sizing: border-box; margin: -6px 0px 15px; font-size: 36px; font-family: SolaimanLipi, serif; font-weight: 500; line-height: 1.1; color: #3e4d5c; background-color: #ffffff;">&nbsp;</h1>

অতিথি পাখির কলরবে মুখর জাবি

শীতের আগমনী গান শোনাচ্ছে বেশ কয়েক দিন ধরে। গাছগাছালিতে ঘেরা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শীতের আমেজ একটু বেশি অনুভূত হয়। আর এখানে একটু আগেই নামে শীত।  ফলে শীতের শুরুতে ক্যাম্পাসের জলাশয়গুলোতে আসতে থাকে অতিথি পাখি। কুয়াশাচ্ছন্ন ভোরে লাল শাপলায় ভরা জলশয়ে ভিনদেশি পাখির বিচরণ ও কলকাকলিতে মুখরিত পরিবেশ।  

শহুরে প্রকৃতিতে ষড়ঋতুর প্রভাব তেমন একটা দেখা না গেলেও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসে ঠিক তার ভিন্ন রূপ দেখা যায়। প্রতিটি ঋতু যেন আসে বর্ণিল আবহে। আর শীতের শুরুতে দৃষ্টনন্দর ক্যাম্পাসে ঝাঁকে ঝাঁকে আসতে থাকে বিদেশি পাখি।  

শীতের সকালে পাখির কাকলিতে আড়মোড়া ভেঙে জেগে ওঠে প্রকৃতি। শিশির ভেজা ঘাসের পথ মাড়িয়ে শুরু হয় শিক্ষার্থীদের কর্মযজ্ঞ। সুদূর সাইবেরিয়াসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আসা অতিথি পাখিগুলো প্রকৃতিতে আনে প্রাণ।

দীঘির জলে রৌদ্রস্নান শেষে নীল আকাশে ডানা মেলে দেশি মাছরাঙা, ডাহুক, পানকৌড়ির সঙ্গে সরালি, পচার্ড, ফ্লাইফেচার, গার্গেনি, ছোট জিড়িয়া, লালমুড়ি, বামুনিয়া হাঁস, মুরহেন, খঞ্জনাসহ নানা প্রজাতির অতিথি পাখি।  

ছোট বড় মিলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে লেকের সংখ্যা ২৬টি। অন্য বছর প্রায় সব লেকে পাখির দেখা মিললেও এ বছর এখনও অতিথি পাখি দেখা গেছে মাত্র একটি লেকে। সময়ের সঙ্গে শীত বাড়লে অতিথি পাখির সংখ্যা বাড়বে আশা দর্শনার্থীসহ শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের।

প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক মো. কামরুল হাসান বলেন, প্রতিবারের মতো এবারও পাখিদের নিরাপদ আবাস নিশ্চিতে জলাশয়গুলো পরিষ্কার করা হয়েছে। পাখিদের অবাদ বিচরণ নিশ্চিত করতে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। এ জন্য পাখি মেলার আয়োজন করা হবে।

পাখিদের নিরাপত্তার জন্য ভিড় জমানো, ফ্লাশ দিয়ে ছবি তোলাসহ বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।