মানুষের ভাগ্য নিয়ে কেউ যেন ছিনিমিনি খেলতে না পারে : শেখ হাসিনা

এদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কেউ ছিনিমিনি খেলতে যাতে না পারে সেটাই আমাদের লক্ষ্য বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।   সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নতুন সভাপতিমণ্ডলীর প্রথম সভার সূচনা বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে সভাটি শুরু হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। কারণ এই দেশটা জাতির পিতা স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন দুঃখি মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে। এ দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কেউ যেন ছিনিমিনি খেলতে না পারে, এটাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ অনেক কষ্ট করেছে। আর ভবিষ্যতে তাদের কষ্ট করতে হবে না, সবাই যেন সুন্দর একটা জীবন পায়, উন্নত জীবন পায়, সমৃদ্ধশালী জীবন পায় সেটাই আমার একমাত্র লক্ষ্য; সেটাই করতে চাই।

আওয়ামী লীগকে আরও শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আমাদের সম্মেলন হয়ে গেছে। আবার নতুন করে আমরা কমিটি করেছি। নিয়ম অনুযায়ী গঠনতন্ত্র মোতাবেক আমরা আমাদের সদস্যদের নির্বাচিত করব।

শেখ হাসিনা বলেন, এই সংগঠনটাই আমাদের বড় শক্তি, এটাও মাথায় রাখতে হবে। সংগঠন যদি শক্তিশালী থাকে আর মানুষের আস্থা বিশ্বাস যদি অর্জন করতে পারে তাহলে সরকার চালানো এবং দেশের উন্নয়ন করা কঠিন কাজ হয় না; এটা হলো বাস্তবতা। সে বাস্তবতা নিয়েই আমরা কাজ করে যাব ইনশাআল্লাহ।

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যের কথা আবারও উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইনশাল্লাহ, আমাদের যে লক্ষ্য ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া— সেটা কীভাবে করব, কি কি ক্ষেত্রে করব সেটা আমি আগেও বলেছি। ... অর্থাৎ আমাদের পুরো জনগোষ্ঠী হবে স্মার্ট জনগোষ্ঠী, সেটাই আমরা করতে চাই। ’ বাংলাদেশ সবসময় এগিয়ে থাকবে সে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটির ১৭ জন প্রেসিডিয়াম সদস্য। দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা সভায় সভাপতিত্ব করেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কাজী জাফরউল্ল্যাহ, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য্য, ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, শাজাহান খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া (বীর বিক্রম), অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন,  জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, সিমিন হোসেন রিমি।

news24bd.tv/আলী