কক্সবাজারের টেকনাফ নাফ নদীর শাহ পরীর দ্বীপ ঘোলারচর মোহনায় রোহিঙ্গবাহী নৌকাডুবির ঘটনায় আরও ৯ জনের মতৃদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগই নারী ও শিশুর লাশ।
সোমবার সকালের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় শাহ পরীর দ্বীপের নাফ নদীর মোহনা থেকে এসব মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে রবিবার রাত ১০টার দিকে দুই জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই সময় আটজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার হওয়া জীবিতরা বলেন, তারা ২৮ জন একটি ট্রলারে করে বাংলাদেশে আসছিলেন। নাফ নদীর ঘোলার চরে আসার পর নৌকাটি হঠাৎ ডুবে যায়। তাদের চিৎকারে বিজিবির টহল দল উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে আটজনকে উদ্ধার করে। অন্যরা নিখোঁজ রয়েছে। টেকনাফ ২ বিজিবি’র অধিনায়ক লে. কর্নেল এস এম আরিফুল ইসলাম জানান, শাহ পরীর দ্বীপে ঘোলার চর পয়েন্টে একটি রোহিঙ্গাবাহী ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় রাতে দু'জনসহ মোট ১১ জনের মৃতদেহ ও আটজনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করেছে বিজিবি। টেকনাফ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাইন উদ্দিন খান বলেন, উদ্ধার রোহিঙ্গাদের তথ্যমতে এখনও অনেকেই নিখোঁজ রয়েছে। তাদের উদ্ধারে স্থানীয়দের সহায়তায় চেষ্টা চলছে।