এবার রাশিয়ার পারমাণবিক শিল্পের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই মস্কোর ওপর একের পর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো। এবার নিষেধাজ্ঞার দশম প্যাকেজের অংশ হিসেবে রাশিয়ার পারমাণবিক শিল্পের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার জন্য ইইউর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে পোল্যান্ড এবং লিথুয়ানিয়া। দেশ দুটির সিনিয়র কূটনীতিকদের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।

রাশিয়ার রাষ্ট্র মালিকানাধীন পারমাণবিক শক্তি সংস্থা রোসাটমের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি দাবি জানিয়ে আসছিল কিয়েভ। তবে হাঙ্গেরি এবং ইইউর অন্যান্য দেশের বাঁধায় নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়নি রোসাটমের ওপর।  

ইউরোপের অনেকগুলো বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনার জন্য অপরিহার্য রোসাটম। ওয়ার্ল্ড নিউক্লিয়ার ইন্ডাস্ট্রি স্ট্যাটাস রিপোর্ট বলছে, ২০২২ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী নির্মাণাধীন ৫৩টি পারমাণবিক চুল্লির মধ্যে রোসাটম নির্মাণ করেছে ২০টি। এই ২০টি চুল্লির ১৭টি নির্মাণ করা হচ্ছে রাশিয়ার বাইরে। তাই রাশিয়ার বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিলেও নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত ছিল  এই প্রতিষ্ঠান।  

হাঙ্গেরি, চেক রিপাবলিক এবং বুলগেরিয়ার মত পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালাতে রাশিয়ার ওপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীল। এসব দেশের বিদ্যুৎ চাহিদার অর্ধেকের বেশি আসে পারমাণবিক খাত থেকে। হাঙ্গেরির পারমাণবিক চুল্লির ৪টি নির্মাণ করেছে রাশিয়া। রোসাটমের মাধ্যমে আরও ২টি  চুল্লি নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে দেশটির।  

রয়টার্স জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে রসাটমের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে চায় ইইউ। এর মাধ্যমে রাশিয়ার পারমাণবিক শিল্পের সঙ্গে ইইউর সহযোগিতা হ্রাস পাবে।  

অন্যদিকে, ইইউতে নিযুক্ত সুইডেনের স্থায়ী প্রতিনিধি লার্স ড্যানিয়েলসনসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা স্বীকার করেছেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞাগুলোর সঙ্গে মানিয়ে নেয়া কঠিন হয়ে যাচ্ছে তাদের জন্য। ইইউর এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, রাশিয়ার ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে ইইউর সদস্য দেশগুলোর ঐক্যমত পাওয়া কঠিন থেকে কঠিনতর হচ্ছে।

নিষেধাজ্ঞার দশম প্যাকেজে রাশিয়ার ডায়মন্ড খাত এবং সামরিক কাজে ব্যবহৃত সামগ্রী অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করেছে।  

সূত্র: আরটি।