ধ্বংসস্তূপ থেকে নবজাতক উদ্ধার

সিরিয়ায় ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে এক নবজাতককে জীবিত অবস্থায় পেয়েছেন উদ্ধারকারীরা। এই নবজাতককে ‘অলৌকিক’ বলা হচ্ছে। গতকাল টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। ধ্বংসস্তূপ থেকে নবজাতকটিকে উদ্ধারের  ভিডিও ইতোমধ্যে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে।

ভাইরাল হওয়া ছোট ভিডিওটিতে দেখা যায়, একজন উদ্ধারকারী নবজাতকটিকে দুই হাত দিয়ে ধরে নিয়ে যাচ্ছেন। নবজাতকটি উদ্ধারের ভিডিওটি টুইটারে শেয়ার করেছেন হোসাং হাসান নামে এক সিরীয় সাংবাদিক।

তিনি টুইটারে লিখেছেন, ধ্বংসস্তূপ থেকে এক প্রসূতিকে উদ্ধারের সময় শিশুটির জন্ম হয়।

রমজান স্লেইমান নামে এক আত্মীয় জানান, শিশুটি তার পরিবারের একমাত্র সদস্য ছিল।

৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পের ১০ ঘন্টারও বেশি সময় পরে পাঁচ তলা অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ের নীচ থেকে নবজাতকটিকে পাওয়া যায়। তাকে দ্রুত নিকটস্থ একটি শিশু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তার চিকিৎসক ডা. হানি মারুফ জানান, সেখানে তাকে একটি ইনকিউবেটরে রাখা হয়েছে। শিশুটির শরীরের তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে গিয়েছিল এবং তার পিঠে একটি বড় ক্ষতচিহ্ন দেখতে পাওয়া যায়। তবে সে স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে বলে জানান ডা. হানি মারুফ।

মারুফ বলেছিলেন, শিশুটির জন্ম হয়েছিল উদ্ধারের তিন ঘন্টা আগে।

তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা মৃত ৭ হাজার ২০০ ছাড়িয়েছে। ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত ১০টি প্রদেশে মঙ্গলবার জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ভূমিকম্পে ধসে পড়া স্তূপের নিচে আরও অনেক মানুষের মারা গেছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

জাতিসংঘের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, আশঙ্কা করা হচ্ছে হাজারো শিশুর মৃত্যু হতে পারে এই ভূমিকম্পে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল সকাল থেকে আটকে পড়া ব্যক্তিদের আত্মীয়রা ধ্বংসস্তূপের পাশে অপেক্ষা করছেন। তাদের আশা, স্বজনদের হয়তো জীবিত খুঁজে পাওয়া যাবে। কিন্তু, তীব্র শীতের কারণে উদ্ধার প্রচেষ্টা কঠিন হয়ে উঠেছে। গৃহহীনদের দুর্দশা বেড়েছে। এছাড়া, কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নেই। ফলে, উদ্ধারকারীরা হিমশিম খাচ্ছেন।

news24bd.tv/তৌহিদ