পৃথিবীতে গ্রহাণুর আঘাত হানার আশঙ্কা

মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার তথ্য বলছে, মোটামুটি অলিম্পিক সুইমিংপুল আকৃতির একটি গ্রহাণু ২০৪৬ সালের ভালোবাসা দিবসে পৃথিবীতে আঘাত হানতে পারে। তবে গাণিতিক হিসাব বলছে, পৃথিবীতে এটির আঘাত হানার শঙ্কা খুবই কম।

ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সির তথ্য বলছে, গ্রহাণুটির পৃথিবীতে আঘাত হানার আশঙ্কা ৬২৫ ভাগের এক ভাগ। তবে নাসার হিসাবে সংঘর্ষের আশঙ্কা ৫৬০ ভাগের এক ভাগ। কিন্তু টরিনো ইমপ্যাক্ট হ্যাজার্ড স্কেল অনুযায়ী, দশের মধ্যে এক নম্বর পাওয়া একমাত্র বস্তু হিসেবে নাসার ঝুঁকির তালিকায় জায়গা পেয়েছে ২০২৩ ডিডাব্লিউ নামের মহাজাগতিক পাথরটি। পৃথিবীর সঙ্গে কোনো বস্তুর সংঘর্ষের সম্ভাব্য ঝুঁকির মাত্রা নির্ণয় করতে টরিনো স্কেল ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত বাকি সব গ্রহাণুই টরিনো স্কেলে দশে শূন্য পেয়েছে।

নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরি বলছে, তালিকার ওপরে থাকলেও ২০২৩ ডিডাব্লিউর পৃথিবীতের আঘাতের সম্ভাবনা খুবই কম, যা জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ বা উদ্বেগের কারণ হবে না। আর টরিনো স্কেলে মান শূন্য হওয়ার অর্থ হচ্ছে সংঘর্ষের কোনো শঙ্কা নেই। নাসার কর্মকর্তারা বলছেন, এর প্রভাব নাটকীয়ভাবে পাল্টে যেতে পারে। তাই ২০২৩ ডিডাব্লিউর গতিপথ নির্ণয় করতে আরো পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ প্রয়োজন।

নাসা বলছে, বর্তমানে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করা গ্রহাণুটির ব্যাস প্রায় ১৬০ ফুট। গ্রহাণুটির পৃথিবীর কাছাকাছি চলে আসার সম্ভাব্য ১০টি সময় অনুমান করা হয়েছে। গ্রহাণুটি ২০৪৬ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি অবস্থান করবে। এ ছাড়া ২০৪৭ থেকে ২০৫৪ সালের মধ্যেও পৃথিবীর কাছাকাছি চলে আসতে পারে এটি।

গত ২ ফেব্রুয়ারি পৃথিবীর আকাশে সর্বপ্রথম মহাজাগতিক পাথরটি শনাক্ত করা হয়। এটি প্রতি সেকেন্ডে ২৫ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করছে। বর্তমানে পৃথিবী থেকে এর অবস্থান এক কোটি ৮০ লাখ কিলোমিটার দূরে।  

সূত্র : সিএনএন

news24bd.tv/আইএএম