নাটোরের গুরুদাসপুরে পুরুলিয়া গ্রামে পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীর ধারাল অস্ত্রের আঘাতে স্ত্রী রিনা খাতুন নিহত হয়েছেন। শনিবার উপজেলার পুরুলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে আহত অবস্থায় তাকে গুরুদাসপুর হাসপাতালে নেয়া হলে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় রিনা খাতুনের শ্বশুর হাবিলকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত রিনা খাতুন নাটোর সদর উপজেলার শিবদুরপুর গ্রামের মফিজ উদ্দিনের মেয়ে এবং গুরুদাসপুরের পুরুলিয়া গ্রামের রনি সরদারের স্ত্রী।
পুলিশ ও এলাকাবাসি সূত্রে জানা যায়, প্রায় ছয় বছর পূর্বে গুরুদাসপুর উপজেলার পুরুলিয়া গ্রামের হাবিলের ছেলে রনি সরদারের সঙ্গে বিয়ে হয় নাটোর সদর উপজেলার শিবদুরপুর গ্রামের মফিজ উদ্দিনের মেয়ে রিনা খাতুনের। বিয়ের দুই বছর পর তাদের সংসার জীবনে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। স্বামী-স্ত্রী ও তাদের চার বছরের ছেলে রাব্বিকে নিয়ে বেশ ভালোভাবেই দিন চলছিল। কিছুদিন আগে একটি এনজিও থেকে বিশ হাজার টাকা ঋণ উত্তোলন করেন স্ত্রী রিনা খাতুন। কিস্তির টাকা পরিশোধের জন্য তিনি স্বামী রনি সরদারকে চাপ দেন। এ নিয়ে শনিবার সকালে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরই একপর্যায়ে স্ত্রীকে ধারাল অস্ত্র (ছোরা) দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে আহত করেন রনি।
গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সন্ধ্যার পর তার মৃত্যু হয়।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সেলিম রেজা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, যৌতুকের এক লাখ টাকার জন্য এ হত্যাকাণ্ড। এ ঘটনায় নিহত রিনার শ্বশুর হাবিলকে আটক করা হয়েছে। তবে স্বামী রনি সরদারসহ বাড়ির অন্য সদস্যরা ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন।
NEWS24▐ কামরুল