হংকং-চীনের দিকে টাইফুন মাংখুত, ফিলিপিন্সে নিহত ১৪

চলতি বছর সবচেয়ে শক্তিশালী ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় টাইফুন মাংখুত ফিলিপিন্সে তাণ্ডব চালানোর পর এখন হংকং এবং চীনের দিকে ধেয়ে যাচ্ছে। আজ রোববার সকালে এই টাইফুনের আঘাতকে সামনে রেখে হংকংয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সতর্কতা জরি করা হয়েছে। এই ঘূর্ণিঝড়টি ঘণ্টায় ২২০ কিলোমিটার গতিতে হংকংয়ের দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্ব দিকে আঘাত করার কথা রয়েছে। খবর সিএনএন, বিবিসির।

হংকংয়ে আঘাত করতে যাওয়া টাইফুন মাংখুত ছয় দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে সেখানে সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। তবে শহরটি এরইমধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। দোকানপাট বন্ধ, সব ধরনের ভ্রমণ স্থগিত করাসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে।

হংকং অবজারভেটরি জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি এখন প্রতি ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার গতিতে চীনের গুয়াংডংয়ের পশ্চিমাঞ্চলীয় উপকূলের দিকে এগোচ্ছে।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, টাইফুন মাংখুতের আঘাতের এখন পর্যন্ত ১৪ জন নিহত হয়েছেন। তারা জানাচ্ছেন, রাস্তাঘাট এবং টেলিযোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। তবে গ্রাম্য এলাকায় কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়।

ফিলিপিন্সের উর্বর অঞ্চল হিসেবে পরিচিত কাগায়ান প্রদেশে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

স্থানীয় সময় শুক্রবার দিনগত রাত ১টা ৪০ মিনিটে ফিলিপিন্সের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় বাগগাওয়ে টাইফুন মাংখুত আঘাত হানে। স্থানীয়ভাবে ওমপং নামে পরিচিত এই ঘূর্ণিঝড়টি পরবর্তী ২০ ঘণ্টা ফিলিপিন্সে তাণ্ডব চালায়।

সরকারি একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কাগায়ানের প্রাদেশিক রাজধানী তুগুয়েগারাও শহরের প্রায় সব ভবনই কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তের রাজনৈতিক উপদেষ্টা ফ্রান্সিস তোলেন্তিনো বলেছেন, কৃষির প্রাণকেন্দ্র এই প্রদেশে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তিনি বলেন, টাইফুন মাংখুত আঘাত হানার আশঙ্কায় ধান ও ভুট্টার মতো কিছু ফসল আগেই সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এটি মোট উৎপাদিত কৃষি পণ্যের মাত্র পাঁচ ভাগের এক ভাগ।

NEWS24▐ কামরুল