কারা হচ্ছেন সিলেটের সেরা ৩ হাফেজ, চোখ রাখুন নিউজ টোয়েন্টিফোরের পর্দায় 

দেশের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত প্রাচীন জনপদ সিলেট। হযরত শাহজালাল (র.)সহ শত শত পীর আউলিয়ার স্মৃতিবিজড়িত এই পুণ্যভূমিতেই শুরু হয়েছিল দেশের হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতার সর্ববৃহৎ আয়োজন ‘কুরআনের নূর পাওয়ার্ড বাই বসুন্ধরা গ্রুপ’ এর কার্যক্রম।  

শুক্রবার পবিত্র মাহে রমজানের প্রথম দিন বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে প্রতিযোগিতার সিলেট বিভাগীয় জোনের অডিশন রাউন্ড দেখা যাবে নিউজ টোয়েন্টিফোর টেলিভিশনের পর্দায়। আয়োজনের মিডিয়া পার্টনার হিসেবে রয়েছে-  দৈনিক কালের কণ্ঠ, বাংলাদেশ প্রতিদিন, বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম ও ক্যাপিটাল এফএম।  

বিভাগের ৪ জেলা সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ আর মৌলভীবাজারের শতাধিক মাদ্রাসা থেকে এই প্রতিযোগিতায় নিবন্ধন করেছিলেন পাঁচ শতাধিক কুরআনের পূর্ণাঙ্গ হাফেজ। তাদের মধ্য থেকে সিলেট বিভাগীয় জোনের সেরা ৩ হাফেজকে নির্বাচিত করবেন বিচারকরা। আজ সন্ধ্যায় জানা যাবে সেই তিনজন ভাগ্যবান কারা।

চলতি রমজান মাসকে সামনে রেখে দেশের বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় হাফেজদের এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটি। সিলেট বিভাগে প্রতিযোগিতার জন্য নিবন্ধিত পাঁচ শতাধিক হাফেজ থেকে প্রথম ধাপে উত্তীর্ণ ৩০ জনকে বাছাই করা হবে। এর পরের পর্বে ৩০ জন থেকে ১০ জনকে বাছাই করা হবে। এরপর সেই ১০ জন থেকে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাধ্যমে বিজয়ী ৩ জনকে ঢাকায় আনা হবে।

সিলেট বিভাগীয় জোনের অডিশনে বিচারকের দায়িত্ব পালন করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম শায়খুল হাদীস মুফতি মুহিব্বুল্লাহিল বাকী আন নদভী, শায়খুল হাদীস মুফতি মুহিউদ্দীন কাসেম এবং মুফতি আব্দুল কাইয়ুম মোল্লা।  

দেশের নয়টি জোন থেকে সেরা তিনজন করে মোট ২৭ জন হাফেজ প্রতিযোগিতার মূল পর্বে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন। তাদের সবাইকে অভিভাবকসহ ঢাকায় আনা হবে। আর ঢাকা বিভাগের দুই জোন (উত্তর ও দক্ষিণ) থেকে ৯ জন করে মোট ১৮ জন হাফেজ দ্বিতীয় রাউন্ডে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন। এই ৪৫ জন প্রতিযোগী নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে বিশুদ্ধ ও সুন্দর কুরআন তিলাওয়াতের শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিযোগিতা। দেশ বরেণ্য ইসলামিক স্কলার ও অভিজ্ঞ হাফেজদের সমন্বয়ে গঠিত বিচারক মণ্ডলী তাদের মধ্য থেকে ফাইনাল রাউন্ডের জন্য ৫ জন কুরআনের হাফেজকে বাছাই করবেন।

রিয়েলিটি শো ও দেশব্যাপী হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা-২০২৩ ‘কুরআনের নূর’ এর প্রথম বিজয়ী একজন পাবেন ১০ লাখ টাকা ও সম্মাননা। দ্বিতীয় বিজয়ী একজন পাবেন ৭ লাখ টাকা ও সম্মাননা। তৃতীয় পুরস্কার একজন পাবেন ৫ লাখ টাকা ও সম্মাননা। চতুর্থ ও পঞ্চম পুরস্কার হিসাবে ২ জন পাবেন ২ লাখ টাকা ও সম্মাননা। সেরা আটে থাকা অন্যরা পাবেন এক লাখ টাকা আর্থিক পুরস্কার ও সন্মাননা।

উল্লেখ্য, পবিত্র কুরআন নাজিলের মাস ও বহুল প্রতীক্ষিত সিয়াম সাধনার মাস পবিত্র মাহে রমজানে বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে নিবেদন করা হচ্ছে ‘কুরআনের নূর’। এই আয়োজনের মাধ্যমে কোরআনের শ্রেষ্ঠ হাফেজদের সম্মাননা ও আর্থিকভাবে পুরস্কৃত করবে বসুন্ধরা গ্রুপ। বরাবরই আন্তরিকতার সঙ্গে কুরআনে হাফেজদের পাশে থেকেছে বসুন্ধরা গ্রুপ। তবে এবার এই হাফেজদের জন্য বসুন্ধরা গ্রুপ সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে, যার শুভ সূচনা হচ্ছে এই রিয়েলিটি শোয়ের মাধ্যমে। আগামী বছর থেকে প্রতিযোগিতাটি আন্তর্জাতিকভাবে আয়োজনের প্রত্যাশা জানিয়েছে আয়োজক প্রতিষ্ঠানটি।