রাজাকারের পূর্ণাঙ্গ তালিকা হচ্ছে না শিগগিরই

আইন সংশোধনের পরও এই সরকারের মেয়াদে আর হচ্ছে না রাজাকারের তালিকা। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন, প্রক্রিয়াটি যথেষ্ট জটিল বিধায় তালিকার কাজটি করতে সময় লাগছে।

তিনি জানান, তালিকা হালনাগাদের জন্য একটি কমিটি করে দেয়া হয়েছে। সঠিক তালিকা করার জন্য জেলা, উপজেলাসহ সারাদেশ থেকে তথ্য নেবে এই কমিটি। তা না হলে ভুল হতে পারে তালিকা। সময় বেশি লাগলেও একটি পুর্ণাঙ্গ তালিকা করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।

নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে পাওয়া স্বাধীনতার ৫৩ বছরের পা দিলো বাংলাদেশ। দুঃখজনক হলেও স্বাধীনতার এতো বছর পরও স্বাধীনতা বিরোধিতাকারী সেইসব রাজাকার, আলবদর, আলশামসদের নামের তালিকা করতে পারেনি বাংলাদেশ।

রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস বাহিনীসহ স্বাধীনতাবিরোধী ১০ হাজার ৭৮৯ জনের তালিকা (প্রথম পর্ব) ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে সরকার প্রকাশ করলেও তাতে নানা ভুল ও অসংগতি থাকায় শেষ পর্যন্ত তা প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয়।  

সঠিক তালিকা প্রকাশ করার জন্য এরপর গেল বছরের ২৯ আগস্ট জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন সংশোধন করা হয় সংসদে। এরপর সাবেক নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়। ঐ কমিটি যারা সারাদেশ থেকে আসা তথ্য উপাত্ত যাচাই বাছাই করে পুর্ণাঙ্গ রাজাকারের তালিকা তৈরি করার কথা। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী জানিয়েছেন, আগামী নির্বাচনের আগে রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করা সম্ভব নয়।

মন্ত্রী আরও জানান, আগের ভুল ভ্রান্তির অভিজ্ঞতায় তালিকা করতে তাড়াহুড়ো করতে চায় না সরকার। মুক্তিযুদ্ধের দেশিয় শত্রুদের এই তালিকা পাঠ্য বইয়ে লিপিবদ্ধ করার তাগিদ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর।

news24bd.tv/FA