ভূমির হিসাব ডিজিটালাইজড হলে পারিবারিক দ্বন্দ্ব কমবে: প্রধানমন্ত্রী

ভূমির হিসাব ডিজিটালাইজড হলে পারিবারিক দ্বন্দ্ব কমবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  জাতীয় ভূমি সম্মেলন-২০২৩ এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের সাতটি উদ্যোগের উদ্বোধনী উপলক্ষে বুধবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

এ সময় স্মার্ট ভূমি নকশা, ভূমি পিডিয়া, ভূমি রেকর্ড, রেজিস্ট্রেশন-মিউটেশন, স্মার্ট ভূমিসেবা কেন্দ্র, স্মার্ট নামজারি ও স্মার্ট ভূমি উন্নয়ন কর উদ্যোগের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। লেজার শো-তে তুলে ধরা হয় ভূমি মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমগুলো।

আওয়ামী লীগ জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি- জামায়াত ধ্বংস করে, আর আওয়ামী লীগ মানুষের কল্যাণ করে। ভূমি মন্ত্রণালয়ের ডিজিটালাইজেশন এবং স্মার্ট সেবার উদ্যোগ তার স্বাক্ষর বহন করছে। মানুষের জীবনে কল্যাণ এবং সমৃদ্ধি এই সরকারের একমাত্র প্রত্যাশা। ’

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রতিটি কর্মীকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, দেশের মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের পাশাপাশি সামাজিক ও পারিবারিক দুর্ভোগ দূর করতে সরকার ভূমিসহ সবক্ষেত্রে ডিজিটালাইজেশনের উদ্যোগ নিয়েছে। তার সরকারের লক্ষ্য দেশ থেকে সকল অনিয়ম দূর করা।  

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভূমির সাথে মানুষের অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক। আর এই ভূমি নিয়েই দেশে নানান ধরনের পারিবারিক ও সামাজিক বিরোধ সৃষ্টি হয়। তাই প্রথমবার সরকারে এসেই ভূমি ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালা করেন তিনি।  

সরকারের ডিজিটালাইজেশন কার্যক্রমের ফলে এখন বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে বসেই ভূমির মালিকরা তাদের ভূমিকর পরিশোধ করতে পারছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে প্রতিদিন গড়ে প্রায় পাঁচ কোটি টাকাসহ ইতোমধ্যে সাতশ’ কোটি টাকারও বেশি সরকারি কোষাগারে জমা হয়েছে। এই মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডল থেকেও পুরস্কার অর্জন করেছে।

১৮২টি দেশ থেকে ডিজিটাল আবেদন করা হলে ডাকবিভাগ তাদের নামজারির কাগজপত্র পৌঁছে দেবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী পহেলা বৈশাখ সারাদেশে ভূমি উন্নয়ন কর শতভাগ অনলাইনে আদায় করা হবে।

বৈশ্বিক যুদ্ধের কারণে ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে অর্থনৈতিক মন্দা চললেও তাঁর সরকারের উদ্যোগের ফলে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী সবাইকে অনাবাদি জমিতে উৎপাদন নিশ্চিতের তাগিদ দেন। প্রধানমন্ত্রী তার পৈতৃক সম্পত্তিসহ গোপালগঞ্জে প্রায় ৫০০ একর অনাবাদি জমিকে চাষের আওতায় এনেছেন বলেও এ সময় উল্লেখ করেন।

ভাই বা বোন যে-ই ক্ষমতাশালী হোক কারো সম্পত্তি যেন কেউ দখল করতে না পারে তার জন্য সঠিক বণ্টন ব্যবস্থার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

news24bd.tv/আইএএম