লাশের অপেক্ষায় গ্রামবাসী, ঘরে ঘরে কান্নার রোল 

বাড়িতে বাড়িতে লাশের খাটিয়া, কেটে রাখা হয়েছে বাঁশ, মরদেহের বহর নিয়ে গ্রামে আসবে স্বজনরা, ঘরে ঘরে কান্নার আওয়াজ, ভারী করে তুলেছে বাতাস। এমন পরিবেশ কখনো দেখেনি গ্রামবাসী। বলছি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের কথা।   ভয়াবহ ওই সড়ক দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ভাটিপাড়া গ্রামেরই ৮ জন।  

ভাটিপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, ঘরে ঘরে কান্নার রোল। স্বজনদের চিৎকারে শোকে স্তব্দ পুরো এলাকা, কারো পিতা হারানোর শোক, কেউ স্বামীর মৃত্যুতে মুর্ছা যাচ্ছেন। নিহতরা সবাই জীবিকার তাগিদে বাড়ি ছেড়ে সিলেটে রাজমিস্ত্রীর কাজ করতে যাচ্ছিলেন।  

গ্রামের মানুষেরা অপেক্ষা করছেন মরদেহের জন্য, উঠানে উঠানে লাশের খাটিয়া। মরদেহ দাফনের জন্য বাঁশ কেটে প্রস্তুত করা হয়েছে। একসঙ্গে এত মরদেহ কখনো দাফন করেননি গ্রামবাসী।

উল্লেখ্য, আজ বুধবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের দক্ষিণ সুরমার নাজির বাজার এলাকার কুতুবপুর এলাকায় বালুবাহী ট্রাক ও শ্রমিক বহনকারী  পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ১১ জনের মৃত্যু হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান আরও ৩ জন।   নিহতরা হলেন সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার মো. সিজিল মিয়া (৫৫), একলিম মিয়া (৫৫), হারিছ মিয়া (৬৫), সৌরভ মিয়া (২৭), সাজেদুর (৬০), বাদশা মিয়া (৩০), সাধু মিয়া (৫০), রশিদ মিয়া (৫০) ও মেহের (২৫); সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার শাহীন মিয়া (৪০), দুলাল মিয়া (২৬) ও আওলাদ হোসেন (৫০); হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের আমিনা বেগম (৪৫) এবং নেত্রকোনা বারহাট্টার আওলাদ মিয়া (৪০)।

news24bd.tv/আইএএম