বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীর বিচার শুরু

সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল না করার অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেছেন আদালত। এর ফলে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।  বৃহস্পতিবার (৮ জুন) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেনের আদালত আসামির অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জ গঠনের আদেশ দেন। একই সঙ্গে আগামী ১০ জুলাই আদালত সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করেন।

আসামি পক্ষে আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ অব্যাহতির আবেদন করে শুনানি করেন। তিনি বলেন, চার্জ গঠনের আদেশের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে যাবো। মামলাটিতে হাইকোর্ট রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাকে জামিন দিয়েছেন। সে অনুযায়ী বৃহস্পতিবার আমরা তার জামিন চাইলে আদালত মঞ্জুর করেন।

এ আসামির বিরুদ্ধে মোট ৬৮টি মামলা আছে বলে জানান তিনি। যার মধ্যে তিন মামলায় তিনি জামিন না পাওয়ায় এখনো কারাগারে রয়েছেন। গত ৭ বছর ধরে কারাগারে রয়েছেন বলেও জানান তিনি।

২০১৯ সালের ২৫ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর উপপরিচালক মো. নাসির উদ্দিন দুদকের ঢাকা-১ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে এই মামলা করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার দক্ষিণ ভাটিয়ারির বাসিন্দা আসলাম চৌধুরী ও তার স্ত্রী নাজনীল চৌধুরীর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান শুরু হয়। অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে দুদকের উপপরিচালক ঋত্বিক সাহা ২০১৯ সালের ১৩ মে আসলাম চৌধুরী ও তার ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের নামে-বেনামে থাকা সম্পদ অর্জনের তথ্য দুদকে দাখিলের জন্য নোটিশ দেন।  

তিনি কারাবন্দি থাকায় কারাগারেও নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশ পেয়ে তিন মাস সময় চেয়ে আবেদন করেন। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রথমে ২১ কর্মদিবস, এরপর আরও ১৫ কর্মদিবস সময় দেয় দুদক। কিন্তু তিনি ওই সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল না করে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে তিন মাস সময় চেয়ে ফের আবেদন করেন। সময় বৃদ্ধির সুযোগ নেই জানিয়ে তাকে নোটিশ দেয়ার পরও তিনি সম্পদ বিবরণী দুদকে দাখিল করেননি। তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনের আদেশ মোতাবেক সম্পদ বিবরণী দাখিল না করায় মামলাটি দায়ের করা হয়।

মামলাটি তদন্তের পর ২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।