সেনবাগে দোকানে মিলল কবিরাজের রক্তাক্ত মরদেহ

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার একটি দোকান থেকে চারদিন পর পুলিশ এক কবিরাজের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে। নিহত কবিরাজ আব্দুল গফুর (৭০) উপজেলার কেশারপাড় ইউনিয়নের কেশারপাড় গ্রামের বারেক হাজারী বাড়ির মৃত হাজর আলীর ছেলে।

মঙ্গলবার দুপুরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

এর আগে, সোমবার রাতে উপজেলার কানকিরহাট বাজারের একটি দোকান থেকে পুলিশ এই মরদেহ উদ্ধার করে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, নিহত গফুর গত ২০ বছর কানকিরহাট দক্ষিণ বাজারে একটি ঘরে বসবাস করেন এবং ওই ঘরেই কবিরাজি করতেন। জরুরি প্রয়োজন হলে গ্রামের বাড়ি যেতেন। সর্বশেষ গত ২৮ জুন তিনি বাড়ি যান। এরপর দুপুর ৩টার দিকে দোকানে ফিরে আসেন। তারপর থেকে পরিবারের কারও সাথে তার যোগাযোগ হয়নি। সোমবার সন্ধ্যার দিকে তার দোকান থেকে পচা গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। গন্ধ পেয়ে পথচারীরা দোকানে উঁকি দিয়ে দেখেন মেঝেতে তার মরদেহ পড়ে আছে।

সেনবাগ থানার অফিসার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। লাশ পচে ফুলে উঠেছে। নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, ৩-৪ দিন আগে তিনি মারা যান। তবে শরীরের কোথাও কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা নেওয়া হয়েছে।

news24bd.tvতৌহিদ