বরিশালের দ্বীপাঞ্চলে দেশের দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার বিকেলে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ ঘোষণা দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের যে উন্নয়ন পরিকল্পনা তা সারা বাংলাদেশ ব্যাপ্তি। দক্ষিণাঞ্চলটা ছিল অবহেলিত। আমরা এই অঞ্চলে রাস্তাঘাট, পুল-ব্রিজসহ নানা উন্নয়ন করেছি। পায়রা বন্দর করা হচ্ছে। বরিশালে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। আর যখনই সরকার গঠন করেছি তখন থেকেই দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করেছি এবং করে যাচ্ছি। কারণ একটাই এদেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করা।
জাতীর পিতার স্মৃতিচারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য জাতির পিতা স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন কিন্তু স্বাধীনতার সুফল বাংলার মানুষের দ্বারে পৌঁছানোর আগেই তাকে আমাদের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হলো, হত্যা করা হলো। আমাদের একটাই লক্ষ্য, এদেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করা এবং জাতির পিতার সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলা। আর সেই সোনার বাংলাদেশই আমরা গড়ে তুলতে চাই। ’
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সরকার গঠনের পর যে সমস্ত এলাকা অনুন্নত ছিল সেগুলোর সার্বিক উন্নয়নের জন্য ব্যাপকভাবে কাজ শুরু করি। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নটা সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখি।
তিনি বলেন, পরবর্তীতে ক্ষমতায় এসে আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ করছি এবং তার সাথে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। বরিশাল অঞ্চলে এখনো রেল যায়নি আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি, যে আমরা রেল যোগাযোগটা পদ্মাসেতু থেকে বরিশাল হয়ে পায়রা বন্দর পর্যন্ত যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিবো। দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য পায়রা, বিষখালী, আগুনমুখা নদীসহ বিভিন্ন এলাকায় ব্রিজ করে রাস্তা করে দিচ্ছি।
অনুষ্ঠানে শেবামেক ক্যাম্পাসের অনুষ্ঠাস্থলে বিশেষ অতিথি ছিলেন- স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, বরিশাল-২ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) তালুকদার মো. ইউনুস, বরিশাল-৫ আসনের এমপি জেবুন্নেসা আফরোজ, বরিশাল সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, মহাসচিব ডা. মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরী প্রমুখ।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)