ইমরুলের ব্যাটে ভর করে বাংলাদেশের লড়াকু স্কোর

ঠিক যেন খাদের কিনার থেকে দলকে টেনে তুললেন ইমরুল কায়েস। জিম্বাবুয়ের বোলিং তোপে একপ্রান্তের উইকেটগুলো যখন টপাটপ পড়ছিল, তখন অন্যপাশে যেন হিমালয়ের মতো আগলে দাঁড়ালেন এ ওপেনার। একাই খেললেন ১৪৪ রানের বড় ইনিংস। ইমরুলের ব্যাটে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ ইউকেট হারিয়ে বাংলাদেশ দল সংগ্রহ করেছে ২৭১ রান।

এদিন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর (৫০ রান) করে দলকে এগিয়ে নেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। মোহাম্মদ মিঠুন করেন ৩৭ রান। এছাড়া মুশফিকুর রহিম ১৫, লিটন দাস ৪, মেহদি হাসান মিরাজ ১, ফজলে মাহমুদ ০, মাহমুদউল্লাহ ০, মাশরাফি ২ (নট আউট), মুস্তাফিজ ১ (নট আউট) রান করেন।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে আজ রোববার টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। তবে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি। ১৫ ওভারের মধ্যে নেই ৩ ব্যাটসম্যান। রানও কম। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান লিটন দাস আজ করেছেন মাত্র ৪ রান। অভিষেকেই শূন্য রানে আউট হয়েছেন ফজলে মাহমুদ। ৬৬ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর চতুর্থ উইকেটে একটি ভালো জুটি গড়ে তোলে বাংলাদেশ। ২৮তম ওভারে ব্যক্তিগত ৩৭ রান তোলার পর মিঠুন উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। বিপর্যয়ের শুরু তখনই। ২ রানের মধ্যে মিঠুনের পথ ধরেন মাহমুদউল্লাহ আর মেহেদী মিরাজও। এ ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক ঘটছে ফজলে মাহমুদ রাব্বির। পেসার রুবেল হোসেনের জায়গায় সুযোগ পেয়েছেন অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিন। ২৮ ওভার শেষে বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ তখন ৫ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রান।

সিকান্দার রাজাকে পরপর দুই বলে দুটি ছক্কা মেরেছিলেন মোহাম্মদ মিঠুন। যার ফলে এক ওভার পরই বোলিংয়ে পরিবর্তন আনেন অধিনায়ক মাসাকাদজা। ২৮তম ওভারে এসেই কাইল জার্ভিস ফিরিয়ে দিলেন উইকেটে সেট হয়ে যাওয়া ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিঠুনকে। ৪০ বলে ৩৭ রান করে ফিরে যান মোহাম্মদ মিঠুন। ১ বাউন্ডারির সঙ্গে ৩টি ছক্কার মার মারেন তিনি। একই ওভারের শেষ বলে আউট হয়ে গেলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। অফ স্ট্যাম্পের ওপর থাকা বলটাকে পুশ করতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ব্যাটে-বলে করতে পারেননি। বলের হালকা চুমু লেগে যায় ব্যাটে। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারলেন না। বিপদে পড়ে বাংলাদেশ।

সাত নম্বরে ব্যাট করতে নামলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। কিন্তু মিরাজও হতাশা উপহার দিলেন। বোলার সেই কাইল জার্ভিস। অফ সাইডের বলটি কাট করতে গিয়েছিলেন মিরাজ। এবারও বল ব্যাটের কানায় লেগে চলে গেলো উইকেটের পেছনে। ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন মিরাজ। এরপর মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন নেমে ইমরুলের সঙ্গে জুটি গড়ে তোলেন। এই জুটিতে ভর করে এগিয়ে যেতে থাকে বাংলাদেশ। ব্যক্তিগত ৫০ রান করে ক্যাচ আউটের শিকার হন সাইফুদ্দিন। ইমরুল কায়েস অল্পের জন্য সেঞ্চুরির পর আরেকটা হাফ সেঞ্চুরি থেকে বঞ্চিত হন। ১৪০ বল খেলে ১৪৪ রান নিয়ে ক্যাচ আউটের শিকার হন। শেষে মাশরাফি আর মুস্তাফিজ নেমে করেন ৩ রান। বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৭১ রান। জয়ের জন্য জিম্বাবুয়ের লক্ষ্য ২৭২ রান।