সমন্বয় ও সক্ষমতা তৈরি ছাড়া সাইবার জগতকে নিরাপদ করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগে ডাটা শুধু ওয়েব ডিভাইস, অ্যাপের সঙ্গেই নয়, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সি ও ইন্টারনেট অব থিংসের সঙ্গেও যুক্ত হয়েছে। এতে ঝুঁকিও বেড়েছে।
রোববার (১ অক্টোবর) ‘মেজারস অ্যান্ড প্রিপেয়ার্ডনেস ফর এমার্জিং সাইবার থ্রেটস’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ও মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) যৌথ উদ্যোগে এ সেমিনার আয়োজন করা হয়। এমআইএসটি মিলনায়তনে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বিশ্বে প্রায় ১০ ট্রিলিয়ন ডলার সমমূল্যের সাইবার অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে। আমাদের সবারই ইন্টারনেটে, ডিজিটাল ডিভাইস বা সাইবার ওয়ার্ল্ডের সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে সংযোগ আছে। ফলে আমাদের ঝুঁকিও আছে।
তিনি বলেন, পৃথিবীতে দুই ধরনের ইন্টারনেট ব্যবহারকারী আছেন। একদল জানে যে, তারা সাইবার হামলার শিকার হয়েছেন। অন্যদল জানেও না যে তারা কখন, কীভাবে সাইবার হামলার শিকার হয়েছেন। এসব ঝুঁকি থেকে বাঁচতে হলে আমাদের নিজেদের সক্ষমতা তৈরি করতে হবে। এআই, মেশিন লার্নিং, ডাটা অ্যানালিটিক্সের ওপর পারদর্শী হতে হবে।
চারটি বিষয়ে সক্ষমতা অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে আইসিটি বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এআই, রোবোটিক্স, মাইক্রোচিপ ডিজাইনিং এবং সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে আমাদের বেশি কাজ করতে হবে। এসব বিষয়ে যদি আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দক্ষ এবং যোগ্য করে তুলতে পারি, তাহলে ২০৪১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ে তুলতে পারবো।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মেজর জেনারেল সাইদুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি রাসেল টি আহমেদ প্রমুখ।
news24bd.tv/A