নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় যৌতুকের জন্য কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে স্ত্রীর শরীর ঝলসে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। শনিবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার মুজাহিদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী নাজমা আক্তার (২০) চৌমুহনী পৌরসভার হাজীপুরের মো. ইউসুফের মেয়ে। তাকে ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
স্থানীয়রা জানান, পাঁচ বছর আগে বেগমগঞ্জ উপজেলার মুজাহিদপুর গ্রামের ফখরুল ইসলামের ছেলে রাসেলের সঙ্গে বিয়ে হয় নাজমা আক্তারের। বিয়ের পর থেকে রাসেলকে দুই লাখ টাকা যৌতুক দেন নাজমার পরিবার। গত ৬ নভেম্বর সিএনজিচালিত অটোরিকশা কেনার জন্য আরও ৫০ হাজার টাকা এনে দিতে নাজমাকে বাপের বাড়ি পাঠান রাসেল। নাজমা টাকা ছাড়া ফিরে আসায় শনিবার দুপুরে ঘরের আসবাবপত্র ভাঙতে থাকেন রাসেল। একপর্যায়ে নাজমার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন রাসেল। এ সময় বাড়ির লোকজন নাজমাকে উদ্ধার করতে এলে বাধা দেন রাসেল। যদিও পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সন্ধ্যায় তাকে ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. ইস্তিয়াক হোসেন জানান, আগুনে নাজমার শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। তার বুক ও পেটসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় ফোসকা দেখা দিয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হতে পারে বলে জানান তিনি।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে হাসপাতালে ভুক্তভোগীর কাছে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম বলেন, তৈল জাতীয় পদার্থ দিয়ে শরীরে আগুন দেওয়া হয়েছে। তার শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে কয়েকটি জায়গায় ফোসকা উঠে গেছে।
news24bd.tv/আইএএম