দান বাক্সে মিলল প্রবাসী নিখোঁজ সন্তানের বাবার চিরকুট

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের ৯টি দান সিন্দুক থেকে ২৩ বস্তা টাকাসহ বৈদেশিক মুদ্রা ও বেশকিছু স্বর্ণালংকারও পাওয়া গেছে। পাশাপাশি পাওয়া গেছে একাধিক চিরকুট। এর মধ্যে নিখোঁজ সন্তানের বাবার একটি চিরকুট রয়েছে।

সিন্দুকে পাওয়া সেই চিরকুটে লেখা আছে, ‘পাগলা বাবা আমার সালাম নিবেন। আপনি অনেক মহান ও দয়ালু আপনার কাছ থেকে কেউ নিরাশ হয়নি। আমার সন্তান আমেরিকায় থাকে। বিগত ৬-৭ বছর যাবৎ তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করতে পারতেছি না। আপনি দয়া করে আমার সন্তানের সঙ্গে যোগাযোগ করার ব্যবস্থা করে দেবেন। আমি একখানা খাসি দেব, মান্নত করলাম। ’

এদিকে, ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মিলেছে ৫ কোটি ২৭ লাখ টাকা।

জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ১৯ আগস্ট মসজিদের আটটি দানবাক্স খোলা হয়েছিল। তখন ২৩ বস্তায় রেকর্ড ৫ কোটি ৭৮ লাখ ৯ হাজার ৩২৫ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা, সোনার গয়না ও হীরা পাওয়া গিয়েছিল।

শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টায় সিন্দুক খুলে শুরু হয় গণনার কাজ।

পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটি জানায়, শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদের নয়টি দান দানবাক্স খোলা হয়েছে। এতে ২৩ বস্তায় ভরে টাকাগুলো মসজিদের দোতলায় নেওয়া হয়েছে গণনার জন্য। এখন চলছে টাকা গণনার কাজ।

এই কাজে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এ টি এম ফরহাদ চৌধুরী, রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর শেখ জাবের আহমেদ, সহকারী কমিশনার রওশন কবীর, মাহমুদুল হাসান, সামিউল ইসলাম, আজিজা বেগম, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম, সিবিএ নেতা মো. আনোয়ার পারভেজসহ মাদ্রাসার ১১২ ছাত্র, ব্যাংকের ৫০ স্টাফ, মসজিদ কমিটির ৩৪ সদস্য ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ সদস্য অংশ নিয়েছেন বলে জানা যায়।

news24bd.tv/aa