সন্ত্রাসী ধরতে ইকুয়েডরজুড়ে সেনা অভিযান

দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ইউক্রেনে চলমান জরুরি অবস্থার মধ্যেই দেশটিতে শুরু হয়েছে সেনাবাহিনীর ব্যাপক অভিযান। বুধবার (১০ জানুয়ারি) দেশটির সেনাবাহিনী এ তথ্য জানায়।

মাদক ও অস্ত্র সন্ত্রাসীদের নিয়ন্ত্রণ করতে দেশটির বিভিন্ন স্থানে চলছে সেনাবাহিনী অভিযান। এ অভিযান থেকে এখন পর্যন্ত ৩ শতাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) প্রেসিডেন্ট নোবোয়া এক বক্তব্যে জানিয়েছেন, দেশে এক 'অভ্যন্তরীণ অস্ত্র সহিংসতার' বিরুদ্ধে আমরা যুদ্ধ ঘোষণা করছি। দেশকে অস্থিতিশীল করতে এসব সহিংস চক্রকে রুখতে আমরা সংঘবদ্ধ।

মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) সরাসরি সম্প্রচার চলাকালে টেলিভিশন স্টেশনে ঢুকে স্টুডিওর সবাইকে জিম্মি করে একদল বন্দুকধারী। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, আপাদমস্তক কালো পোশাকে ঢাকা কয়েকজন রাইফেল নিয়ে হঠাৎ প্রবেশ করে স্টুডিওতে। ফলে সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। অস্ত্রের মুখে উপস্থিত সবাইকে মেঝেতে শুয়ে পড়তে বাধ্য করেন সন্ত্রাসীরা। শোনা যায় গুলির আওয়াজও। এক পর্যায়ে বন্ধ হয়ে যায় সম্প্রচার। পরে টেলিভিশন স্টেশনটিতে অভিযান চালায় পুলিশের বিশেষ ইউনিট। জড়িত সন্দেহে আটক করে অন্তত ১৩ জনকে।

মূলত ইকুয়েডরে দুর্ধর্ষ এক অপরাধী কারাগার থেকে পালানোর পরই দেশজুড়ে ছড়ায় অস্থিতিশীলতা। সেই থেক দেশটিতে জারি রয়েছে ৬০ দিনের জরুরি অবস্থা।

এদিকে ইকুয়েডরের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উদ্বেগ জানিয়ে বক্তব্য দিয়েছে। দেশটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আমেরিকা এই সহিংস আক্রমণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। প্রয়োজনে ইকুয়েডরকে যেকোনো ধরনের সহযোগিতা করতে তারা প্রস্তুত।

news24bd.tv/SC